× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিবিসি’র রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা / আন্দামানে ভাসমান রোহিঙ্গা নৌকা বাংলাদেশ থেকে ১৭০০ কিলোমিটার দূরে

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

আন্দামান সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গাভর্তি নৌযান উদ্ধারে ইউএনএইচসিআর’র আহ্বান সংক্রান্ত ২২শে ফেব্রুয়ারির বিবিসি ইংরেজি মাধ্যম ও বাংলা ভার্সনের রিপোর্টকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিবিসি’র রিপোর্টটি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। রিপোর্টে ইউএনএইচসিআর’র প্রেস রিলিজের বরাতে সাগরে ভাসমান নৌযানে থাকা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের উপকূল থেকে গেছে মর্মে যে দাবি করা হয়েছে তা ভুল। অসত্য দাবি। ইউএনএইচসিআর তাদের প্রেস রিলিজে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, ভাসমান নৌযানটির অবস্থান আন্দামান সাগরে। জাতিসংঘের অধীন সংস্থাটি এটাও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করেছে, আন্দামান সাগরের যে স্থানটিতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌযানের অবস্থান তা বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে। এটি মিয়ানমারের উত্তরে, থাইল্যান্ডের পশ্চিমে এবং ভারতের আন্দামান ও নিকোবোর দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থিত। সেই বিবেচনায় এটা উল্লেখ্য যে, নৌযানটির অবস্থান বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরে।
আর মিয়ানমার উপকূল থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪৯২ কিলোমিটার। এটাও উল্লেখ্য যে, থাই উপকূল থেকে নৌযানটির অবস্থানের দূরত্ব ৩৬৩ কিলোমিটার, ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৮১ কিলোমিটার আর ভারতীয় উপকূল থেকে ১৪৭ কিলোমিটার। রোহিঙ্গা বোঝাই নৌযানটি বাংলাদেশের জলসীমা থেকেও অনেক অনেক দূরে অবস্থান করছে। সেই তুলনায় এটি আন্দামান সাগরের উপকূলবর্তী অন্য রাষ্ট্রগুলোর কাছাকাছি রয়েছে। বাংলাদেশ আনক্লোজের অধীনে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি এবং বাধ্যবাধকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে ঢাকার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটা বলা উচিত যে, আগে যখন সাগরে ভাসতে থাকা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে উপকূলবর্তী রাষ্ট্রগুলো বারবার অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলো তখন বাংলাদেশই তাদের উদ্ধার করে জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল।

বিবিসি’র রিপোর্টে যা ছিল-
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র বিবৃতির বরাতে বিবিসি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীভর্তি একটি নৌযান আন্দামান সাগরে আটকা পড়েছে। এসব রোহিঙ্গাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার করার আহ্বান জানায় জাতিসংঘের অধীন সংস্থাটি। ২০শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌযানটিতে কতোজন শরণার্থী রয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা বলছেন, নৌকাটির সবাই বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে যাত্রা শুরু করে। ইউএনএইচসিআর’র দাবি ছিল- নৌযানটিতে আটকে পড়া শরণার্থীদের শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় এবং তারা মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছে। এরইমধ্যে বেশ ক’জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানায় সংস্থাটি। নৌযানটিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্ধৃত করে ইউএনএইচসিআর জানায়, ক’দিন আগেই খাবার এবং পানি শেষ হয়ে গেছে। সপ্তাহখানেক আগে নৌযানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনএইচসিআর’র কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্টাবারফিল্ড বিবিসিকে বলেন, নৌযানে থাকা শরণার্থীদের জরুরিভিত্তিতে সহায়তা দরকার।


 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর