× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চোখের জলে পিলখানার শহীদদের স্মরণ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫-২৬শে ফেব্রুয়ারি সংঘটিত বর্বরোচিত ঘটনায় নিহত সেনাসদস্যদের ১২তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল দিবসটি উপলক্ষে বনানীস্থ সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্টের পক্ষে প্রেসিডেন্টের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদ সেনাসদস্যদের সম্মানে স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়াও এদিন সকল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকল স্তরের সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
এদিকে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তর সহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবি’র সকল মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল বিজিবি’র সকল স্থাপনায় বিজিবি পতাকা অর্ধনমিত ছিল এবং বিজিবি’র সকল সদস্য কালোব্যাজ পরিধান করেন। আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা পিলখানাস্থ বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ এবং বিজিবি হাসপাতাল মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের গুলিতে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের চোখের জলে স্মরণ করছে স্বজন-সহকর্মীরাও। স্বজন-সহকর্মীরা পুষ্পাঞ্জলি দেন শহীদদের কবরে।
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা তাদের হারানো স্বজনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। অশ্রুসিক্ত চোখে দিনটি স্মরণ করে শোকে স্তব্ধ তারা। বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের স্বজনরা এসেছিলেন ফুল হাতে বুকচাপা কান্না নিয়ে। কারো বাবা-মা, কারো সন্তান কারো স্ত্রী চোখের জলে স্মরণ করেন প্রিয়জনকে। এই হত্যাযজ্ঞের ১২ বছরেও সব মামলার রায় না হওয়ায় এবং নেপথ্যের কারণ সামনে না আসায় হতাশা প্রকাশ করেন শহীদদের স্বজনেরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। পিলখানা হত্যা মামলার বিচার নিষ্পত্তি হলেও ১২ বছরেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। মামলাটির বিচার চলতি বছরে শেষ হয়ে যাবে বলে রাষ্ট্রপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে। ২০১৩ সালের ৫ই নভেম্বর নিম্ন আদালতে হত্যা মামলা রায় ঘোষণা করার পর ২০১৭ সালের ২৭শে নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি হয়। এ ঘটনার বিস্ফোরক আইনে করা মামলা এখনো বিচারাধীন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর