খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে স্বামী জীবিত থাকতেও দীর্ঘ ৮ বছর ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছে এক মহিলা। স্বামী থাকতেও বিধবা ভাতা, এটা কীভাবে সম্ভব! এ রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এক হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের ৯নং কুলবাড়িয়া ওয়ার্ডের মঠবাড়িয়া গ্রামের মৃত তৃষার কান্তি মণ্ডলের স্ত্রী গীতা রানী মণ্ডল নামে এক মহিলা ২০১৩ সাল হতে অদ্যাবধি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের ভাতার আওতায় বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছে। বইতে স্বামীকে মৃত লেখা হলেও আজও তিনি জীবিত আছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। যে বই দেখিয়ে তিনি ভাতা উত্তোলন করেন তা হলো ৯৯২ নং। বইতে আরো লেখা আছে মৃত ইসলাম উদ্দীন শেখের স্ত্রী রাশিদা বেগমের পরিবর্তে ওই মহিলাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান মেম্বারদের সঙ্গে কথা হলে এটা কীভাবে সম্ভব হলো তা তারা জানেন না। এ ব্যাপারে গীতা রানী মণ্ডল বলেন, সে সময় অভাব অনটনের কারণে আমরা আবেদন করেছিলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ভাতা দেয়া হয়।
৯নং কুলবাড়িয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম মুন্না এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. বদরুজ্জামান তসলিম বলেন, সে সময় আমি চেয়ারম্যান ছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমার মেয়ে মারা যাওয়ার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। এ সময় মেম্বাররা কীভাবে কি করেছে সেটা আমার মনে নেই।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট প্রতাপ কুমার রায় বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি এবং আবেদনের মাধ্যমে বইটি বাতিলের ব্যবস্থা করছি।