নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এবারে উপজেলায় প্রদর্শনীসহ ৩শ’ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে কৃষকরা।
বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক রাম বাবু বলেন, সূর্যমুখী একটি লাভজনক ফসল। অন্যান্য ফসলের চেয়ে চাষাবাদে খরচ ও সময় কম লাগে। জমিতে ২টি চাষ দিয়ে সূর্যমুখী রোপণ করা যায়। রোপণ থেকে কর্তন পর্যন্ত ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। পৌরসভার চিকনমাটি গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, সূর্যমুখীর জমিতে দুইবার সেচ ও অল্প কিছু সার দিলেই হয়।
একটু পরিচর্যা করলে বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ মণ ফলন উৎপাদন করা যায়।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বলেন, সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৫৫ দিন হতে ৬০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু করে। ফুল ঝরে বীজ সংগ্রহ করতে ১১০ দিন সময় লাগে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রতিদিনেই আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দলবেঁধে আসছেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। বাগানগুলোতে বর্তমানে হলুদ রঙের ফুলের অপরূপ দৃশ্য চোখে দেখার মতো। চাষিরা জানিয়েছেন আগে জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতেন। এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন। কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরে কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় ২শ’ জন কৃষককে সরকারিভাবে ১ কেজি সূর্যমুখী বীজ দেয়া হয়েছে। কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। একটু পরিচর্যা নিলে প্রতি বিঘায় ১০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।