করোনার টিকা নেয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। কমছে নিবন্ধন করার আগ্রহ। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় নিবন্ধন বেশি করেছেন ৫০ হাজারের কিছু বেশি। গত এক সপ্তাহের প্রতিদিনের তুলনায় যা কম। এই কয়েকদিন গড়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখের বেশি মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধন করেছিলেন। হঠাৎ করে গতকাল সংখ্যা অনেক কমে গেছে। দেশে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচির ১৬তম দিনে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন। যা তার আগের দিনের তুলনায় ৫৪৬ জন কম টিকা নিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৫ জন এবং নারী ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৫ জন টিকা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৯৮ জন। টিকা নিতে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৪১ লাখ ২১ হাজার ৯৫৬ জন। আগের দিন প্রায় একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু: গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মারা গেলেন ৮ হাজার ৩৯৫ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৪৭০ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৪৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৮ জন। গত বৃহস্পতিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৫ জন এবং শনাক্ত হয়েছিলেন ৪১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৮টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৩২টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৮টি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে পুরুষ ৬ জন এবং নারী ৫ জন। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ হাজার ৩৪৯ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৪৬ জন নারী মারা গেছেন। শতকরা হিসাবে যা পুরুষ ৭৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং নারী ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬০ বছরের উপরে ৯ জন এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২ জন। এরা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগের ৭ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ জন রয়েছেন।