× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুশতাকের মৃত্যুর দায় রাষ্ট্রের

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার

মতপ্রকাশের কারণে একজন লেখককে এভাবে দিনের পর দিন আটকে রাখা এবং একপর্যায়ে তার মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। গতকাল গণমাধ্যমকে জানানো এক প্রতিক্রিয়ায় ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমি মনে করি, বিচার বিভাগের আরো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। লেখক মুশতাকের ৬ বার জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিচার বিভাগের আরো মানবিক ও মানবাধিকারের বিষয়টি দেখা দরকার ছিল। মানবাধিকার কমিশনের সাবেক এই চেয়ারম্যান প্রশ্ন রাখেন, একজন ব্যক্তি একটা কিছু লিখলেই তাকে এভাবে মাসের পর মাস কারাগারে রাখতে হবে, তার পেছনে কি এমন কারণ থাকতে পারে? দেখা দরকার ছিল, মুশতাক কী লিখেছেন। তাতে আদৌ সরকার বা রাষ্ট্রবিরোধী কিছু ছিল কি না। সবচেয়ে বড় কথা, মামলা হতে পারে, তাই বলে জামিন পাওয়ার অধিকার তো তার ছিল।
তাছাড়া এই মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই ব্যক্তি জামিনে থাকলে রাষ্ট্রের কী এমন ক্ষতির কারণ হতো! বরং তিনি চিকিৎসা পেতেন। তিনি বলেন, বর্তমান যুগে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম কথা বলেন। সরকারের সমালোচনাও হতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। মুশতাক কিছু কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন। দেখতে হবে, সেখানে তিনি রাষ্ট্রবিরোধী কাজে যুক্ত কি না। ফেসবুক এক প্রকাশ্য মাধ্যম। এখানে লিখে তিনি রাষ্ট্রবিরোধী কাজে কীভাবে যুক্ত হয়েছেন, সেটাও পরিষ্কার হওয়া দরকার ছিল। ড. মিজান বলেন, বিচার বিভাগের এই বিষয়টির দিকে নজর দেয়া দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে আনলেই আটকে রাখতে হবে, এমনটা তো নয়। বিচার বিভাগকে ব্যক্তির মানবাধিকারের বিষয়টি দেখতে হবে। ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা আদৌ ঠিক কি না, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর