চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। একসঙ্গে হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা এসে ভিড় করছেন। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সেই নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে মানুষ।
সূর্যমুখী ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীদের অবাধ বিচরণে হুমকিতে পড়েছে বাগানটি। তাই বিপাকে পড়েছেন গবেষণা কর্তৃপক্ষ। দল বেঁধে আসা দর্শনার্থীরা ছবি তুলতে ঢুকে পড়ছেন বাগানের ভেতর। ফুলের চেয়ে বেশি ক্যামেরার ফ্লাশ! দর্শনার্থীদের অবাধ চলাফেরায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাছ ও ফুল। কেউ আবার ছিঁড়ে নিচ্ছেন ফুল, আবার কেউ উপড়ে নিচ্ছেন আস্ত গাছ।
প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছেন ফুল দেখতে। দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা জানান, এমন সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ তারা। চারদিকে বিস্তৃত ফসলের মাঠ। মাঝখানে সূর্যমুখী ফুলের বাগান। ফুটে আছে হাজার হাজার হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। সম্প্রতি এই দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই দৃশ্যটি দেখেতে প্রাণ আকুপাকু করছে প্রকৃতি প্রেমীদের।
সূর্যমুখী ফুল বাগানের দেখতে আসা দর্শনার্থী মনির হোসেন বলেন, আসলে একসাথে এতগুলো সূর্যমুখী ফুল আগে কখনো দেখা হয়নি! আমাদের হাটহাজারীতে এই সূর্যমুখী ফুল বাগানটি মানুষের নজরে আসছে। তাই আমরাও সৌন্দর্য উপভোগ করতে বন্ধুদের নিয়ে বাগানে আসছি ছবি নিতে।
হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মো. খলিলুর রহমান ভুইঁয়া বলেন, সূর্যমুখী ফুল বাগানটি আসলে মানুষের নজর কেড়েছে। বহুবছর পর হাটহাজারীতে এই প্রথম এত বড় একটি ফসলের মাঠে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। এর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য স্থানীয় তথা দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা বাগানে এসে ভিড় জমিয়েছে। এতে আমাদের আনন্দে মন ভরে যাওয়ার মত। কিন্তু অবাধ বিচরণে বাগানটি হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের মধ্যে ছবি তোলার হিড়িক পড়েছে। বাগানের ফুলের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি বেশি! দর্শনার্থীরা যদি একটু সচেতন হয় তাহলে বাগানের সৌন্দর্য আরো বাড়বে।