টানা ২০ বছর পর আবারো প্রাণ ফিরে পেলো আরিচা ও কাজিরহাট নৌরুট। দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত এই নৌরুটে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ফলক উন্মোচন, ফিতা ও কেক কেটে এর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সহ আরো অনেকে। রুটটি সচল করতে যমুনা নদীতে নতুন করে ১২ লাখ ঘনমিটার বালু অপসারণ করে চ্যালেন তৈরি করা হয়েছে। দুই পাড়ে দু’টি ঘাট, পন্টুন নির্মাণ, বিকন বাতি, মার্কিং বাতিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। এই নৌরুটে আপাতত বেগম রোকেয়া ও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামের দুটি রো রো ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর এই নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন ও মানুষের চলাচলের গতি বেড়ে যাওয়ায় এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর বিকল্প হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুনরায় এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর এই রুটে নাব্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করায় ২০ বছর আগে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ২০০১ সালে আরিচা ফেরি ঘাটটি স্থানান্তর করা হয় পাটুরিয়ায়।