বহুদিন পর লাল পতাকায় ভরে গেল শহর। অনেকদিন পড়ে তেরঙ্গা ঝান্ডা রাজপথে উড়লো পতপত করে। রোববার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজ মহানগরীতে। সকাল থেকে বাস আসতে শুরু করেছে জেলাগুলি থেকে। অনেকে রাতেই এসেছেন। ব্রিগেডের রাতে পেট্রোম্যাক্স জ্বেলে রান্না হয়েছে ডিমের ঝোল আর ভাত। কয়েক লাখ মানুষ রোববার ব্রিগেডে হাজির থাকছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ থেকে ১১০টি আসনের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হতে পারে এই মহাজোট। সিপিএম এর বিমান বসু কিংবা কংগ্রেস এর প্রদীপ ভট্টাচাৰ্য এর কথায়, যতই তৃণমূল আর বিজেপি দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলুক, এবার ভোটে লড়াই হবে ত্রিমুখী। আব্বাস সিদ্দিকীর আইএসএফের সঙ্গে ৩০ টি আসনে সিপিএম এর বোঝাপড়া হয়ে গেছে।
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সভাপতি নৌশাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার কথা চলছে। আশা করি, সমঝোতা হবেই। রোববারের ব্রিগেডে প্রধান বক্তা সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরি এবং আইএসএফের আব্বাস সিদ্দিকী। কংগ্রেসের পক্ষে রাহুল কিংবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আনার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু দুজনেই কেরালা নির্নাচনের কথা ভেবে রোববারের ব্রিগেড এড়িয়ে গেছেন। কারণ, কেরালায় কংগ্রেস জোট লড়ছে সিপিএম জোটের বিরুদ্ধে। এদিনের সমাবেশে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল থাকছেন। ব্রিগেড সমাবেশে সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থাকছেন না। একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এত বড় একটি সমাবেশ হচ্ছে। অথচ অসুস্থতার কারণে আমি ঘরবন্দি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করি।