× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আনুশকার শরীরে সেক্স টয় ব্যবহার করা হয়েছিল

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, রবিবার, ৫:১৩ অপরাহ্ন

রাজধানীর কলাবাগানে কথিত বয়ফ্রেন্ড তানভীর ইফতেখার দিহানের বাসায় ধর্ষণের শিকার হওয়া মাস্টারমাইন্ডের শিক্ষার্থী আনুশকার শরীরে সেক্স টয় (ফরেন বডি) ব্যবহার করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি’র সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সিআইডি। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সিআইডি’র সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো.কামরুল আহসান বলেন, নির্যাতনের সময় ওই শিক্ষার্থীর শরীরে এক ধরনের ফরেন বডি ব্যবহার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দিহানের ব্যবহৃত ফরেন বডির উৎস খুঁজতে গিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গতকাল শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে চক্রের মূলহোতা মো. মেহেদী হাসান ভূইয়া ওরফে সানি (২৮), রেজাউল আমিন হৃদয় (২৭), মীর হিসামউদ্দিন বায়েজিদ (৩৮), মো.সিয়াম আহমেদ ওরফে রবিন (২১), মো. ইউনুস আলী (৩০), আরজু ইসলাম জিমকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘবদ্ধ এই চক্রটির মূল টর্গেট কিশোর এবং ত্রিশোর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিরা। তাদেরকে টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সেক্স টয় বিক্রি করতো চক্রটি। তাদের স্থায়ী কোনো দোকান নেই।
অনলাইনে দেয়া মুঠোফোন নাম্বারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে এই সেক্স টয় ক্রয় করে থাকেন টার্গেটকৃত ক্রেতারা।
সিআইডির এই অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেক্স টয়ের বিজ্ঞাপন দিত এই চক্রটি। বিশেষ করে যারা নি:স্বঙ্গ জীবনযাপন করছেন তাদেরকে টার্গেট করে এসব নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি করত চক্রটি। শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থেকে ইতোমধ্যে এই চক্রের মূলহোতাসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম। মো.কামরুল বলেন, মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, বিকৃত যৌনাচারের কারণে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় ওই শিক্ষার্থী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর