‘ইন্তাজ আলীর কারণেই স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করা হচ্ছে না। গত ৬ মাস ধরে সালিশ করা হচ্ছে। এর পরও স্ত্রীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ইন্তাজ আলীকে খুন করেছি।’Ñ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে ইন্তাজ আলী হত্যা মামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আরজ আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানিয়েছে। গ্রেপ্তারের পর প্রথমে পুলিশের কাছে ও পরে আদালতে এসব তথ্য জানায় আরজ আলী। গতকাল বিকালে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরজ আলীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই এমরান আহমদ জানিয়েছেন- ইন্তাজ আলী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আরজ আলী সিলেটের আদালতে খুনের ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সালিশব্যক্তিত্ব ইন্তাজ আলীকে খুন করা হয়। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে ওই সালিশ বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছিল। আর বৈঠক থেকে ফেরার পথে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইন্তাজ আলীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আরজ আলী। এ সময় ইন্তাজ আলী প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিলে তার পিঠেও ছুরিকাঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ দেখা দেয় এলাকায়। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামের মৃত করামত আলীর পুত্র আরজ আলীর সঙ্গে স্ত্রী রিমা বেগমের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে গত ৪ মাস ধরে রিমা তার পিতার বাড়িতে বসবাস করছে। বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটাতে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ঘটনার শেষ হচ্ছিল না। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে এলাকায় সালিশ বৈঠকের আহ্বান করা হয়। ওই বৈঠকে ঘটনাটি আদালতের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। এবং আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটি সবাই মেনে নেবেন বলে জানিয়ে দেয়া হয়। সালিশ বৈঠক শেষে ফেরার পথে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।