জমি বিরোধের জেরে মা ও মেয়েকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে রামনা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম জমাদ্দার এবং তার সহযোগী রাজুর বিরুদ্ধে। আহত ওই নারী ও তার মেয়েকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতেও বাধা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল করলে হামলার ৬ ঘণ্টা পর বামনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। মারধরের শিকার ওই নারীরা হলেন, রামনা ইউনিয়নের উত্তর রামনা গ্রামের মৃত ইউসুফ খানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৮) ও তার মেয়ে পারুল বেগম (৩৫)। গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে একটি গোয়ালঘর উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই প্রভাবশালী নেতা ও তার গাড়িচালক তাদের ওপর এ হামলা চালান। আহতরা বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বামনা থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি হাবিবুর রহমান।
আহত পারুল বেগম বলেন, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে একটি গোয়ালঘর নির্মাণের সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ও তার সহযোগী রাজু এসে বাধা দেন। তাদের দাবি, ওই সম্পত্তি তাদের।
অথচ আমরা ৫০ বছর ধরে এ জমি ভোগদখল করে আসছি। গত রোববার দুপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার গাড়িচালক এসে এলোপাতাড়ি আমাদের পেটাতে থাকেন। তাদের হামলায় আমি ও আমার মা মুখম-ল ও বুকে প্রচ- আঘাত পাই। আমরা হাসপাতালে আসতে চাইলেও তারা আমাদের গাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে দেয়। এরপরে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাই। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ সময় হাসপাতালে এসেও সাবেক ওই ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, আমার সম্পত্তি দখল করে ওই নারীরা গোয়ালঘর তুলছে। আমি অনেকবার নিষেধ করলেও তারা তা ভ্রুক্ষেপ করেননি। তবে আমি তাদের ওপর কোনো ধরনের হামলা করিনি। হয়তো দু-একটি ধাক্কা দিয়েছি।