× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমতলী উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় সংঘর্ষ, আহত ১৫

বাংলারজমিন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
২ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার

আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের কারণে বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন ১৫ জন। গতকাল এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১টায় আমতলী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ধার্য ছিল। সভায় পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ যথাসময়ে উপস্থিত হলেও বেলা ১২টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান ৫ শতাধিক মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা সহকারে পরিষদ চত্বরে উপস্থিত হন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরকান ও পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান-এর সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
পরে পুলিশের লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হন সিরাজ পঞ্চায়েত (৪০), জাহাঙ্গীর (৩৫) ও জহিরুলসহ (৩৪) উভয়পক্ষের ১৫ জন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কোরাম সংকটের কারণে অনেকদিন যাবৎ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। গতকাল সমন্বয় সভা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সংর্ঘষের কারণে তা পণ্ড হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যরা নির্ধারিত মাসিক সমন্বয় সভায় যোগদান করার জন্য উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত হই। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে উপজেলা পরিষদে আসেন। তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সংর্ঘষের ঘটনায় চেয়ারম্যান সমর্থক ৬ জন কর্মী আহত হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, উপজেলা পরিষদের কোনো মাসিক সমন্বয় সভা ছিল না। আমার সঙ্গে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ২ জন সদস্য ছিল। তাছাড়া গ্রামগঞ্জ থেকে সমর্থকরা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। তাদেরকে নিয়ে আমি আমার অফিসে গিয়েছি। চেয়ারম্যান গ্রুপ আমার ৯ কর্মীকে মারধর করেছে। এদের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৮/১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম তারেক রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পৌর শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে ডিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর