সিলেটে জ্বালানি তেলের ধারাবাহিক সরবরাহ বন্ধ হলেই পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পেট্রোল পাম্প এসোসিয়েশনের নেতারা। রোববার রাতে এক বৈঠক করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর, অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন, সিলেটের নেতৃবৃন্দ এ হুমকি দেন। এ সময় তারা বলেন- সিলেট অঞ্চলে জ্বালানি তেল সংকট নিরসনে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়ে দিয়েছিলেন সিলেটের জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ীরা। সাত দিনের আল্টিমেটাম শেষে নেতৃবৃন্দ পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য আবারো জরুরি বৈঠকে বসেন। সভায় এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মোস্তফা কামাল জানান, সিলেট অঞ্চলে দীর্ঘদিন থেকে জ্বালানি তেলের সংকট রয়েছে। এমতাবস্থায় সিলেট অঞ্চলে টানা ১০ দিন অকটেন সরবরাহ বন্ধ ছিল। তিনি জানান, এমন পরিস্থিতিতে ২২শে ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেন পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। সভায় জানানো হয়, ২২শে ফেব্রুয়ারি আল্টিমেটামের পর সিলেট অঞ্চলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তিনটি চুক্তিভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুপার পেট্রোকেমিক্যাল, পেট্রোম্যাক্রা রিফাইনারি এবং এ্যাকোয়া রিফাইনারিকে শ্রীমঙ্গল ও মোগলাবাজার ডিপোতে সড়কপথে ট্যাংকলরিযোগে অকটেন ও পেট্রোল প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।
সভায় জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জানান, বিপিসি’র নির্দেশনার পর সিলেট অঞ্চলে জ্বালানি তেলের সংকটের সাময়িক সমাধান হয়েছে। এ সময় নেতৃবৃন্দ জ্বালানি তেলের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, সিলেট অঞ্চলে সপ্তাহে ৪ রেক অর্থাৎ ৮০ ওয়াগন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হলে জ্বালানি তেলের সংকট নিরসন হবে। তিনি জানান, সপ্তাহে ৮০ ওয়াগনে ২৮ লাখ লিটার জ্বালানি তেল সরবরাহ করা গেলে সিলেটে তেল সংকট কমবে। তিনি প্রশাসনের প্রতি ৩৫ লাখ লিটার তেল সরবরাহের আহ্বান জানান। পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন, সিলেটের সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জুবায়ের আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় জরুরি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়জুল ইসলাম ও রিয়াসাদ আজিম আদনান প্রমুখ।