ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড চরলাপাং নতুন পাড়ার কিশোরী (১২) কে ধর্ষণ করে একই এলাকার মো. রনি মিয়া (১৯)। এতে ওইকিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রনি ও তার পরিবারের লোকজন তার (ধর্ষিতার) অবৈধ গর্ভপাত করান। এ বিষয়ে পিতা নবীনগর থানায় একটি এজাহার দাখিল করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মনির হোসেন ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি রনিকে গ্রেপ্তার করে এবং  সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর পিতা পেশার কারণে প্রায় রাতে বাড়িতে থাকতেন না। ওই সুযোগে গত বছরের ২রা সেপ্টেম্বর পার্শ¦বর্তী মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. রনি মিয়া ওই কিশোরীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের নিজ ঘরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে।  এতে কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রনি ও তার পরিবারের লোকজন উপজেলার মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করায়। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন নবীনগর সদরে বড় বোন তানিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় রেখে রনি তার পরিবারের লোকজন গাঢাকা দেয়।

এ বিষয়ে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি নবীনগর থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দাখিল করেন। পরে পুলিশ মূল আসামি রনিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রশিদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিমকে মেডিক্যাল টেষ্টের জন্য আগামীকাল জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।।