পুরনো কাউন্সিলরদের ভরাডুবি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায়। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি সাধারন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন হয় রবিবার। এরমধ্যে শুধু ২টি ওয়ার্ডে জয় পান বর্তমান কাউন্সিলর। নানা কারনে বাকীদের ইজ্জত বাচেঁনি। জামানতও হারিয়েছেন একজন। গত বছর করোনা পরিস্থিতির শুরুতে সরকারের বিশেষ ওএমএস তালিকা প্রনয়নে অনিয়মে জড়ান তাদের অনেকে। বরখাস্তও হন ২ কাউন্সিলর। ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো: জামাল হোসেন (ভোট ২৫৮২) আবারো নির্বাচিত হয়েছেন,২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মো: মাহফুজ মিয়া।
এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো: আবুল বাশার ৩ জন প্রতিদ্বন্ধির মধ্যে তৃতীয় হয়েছেন। ৩নম্বর ওয়ার্ডে আক্তার হোসেন চৌধুরী(প্রাপ্ত ভোট ২৭০৪),৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ১৪৮০ ভোট পেয়ে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন,৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মো: আবদুল মালেক(১৭৮৭ ভোট),৭নম্বর ওয়ার্ডে সর্বাধিক ৯ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এরমধ্যে ভোটে তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ফেরদৌস মিয়া (ভোট পেয়েছেন ৭৭৩)। এখানে জয়ী হয়েছেন ফারুক আহমেদ(১৮০৫),৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মীর মো: শাহীন মিয়া। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শাহ মো: শরীফ ৭ জন প্রতিদ্বন্ধির মধ্যে ২৬৭ ভোট পেয়ে ৫ম হয়েছেন। জামানত হারিয়েছেন তিনি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মো: মুরাদ খানকে হারিয়ে জয়ী হন সাবেক কাউন্সিলর মো: ফারুক মিয়া(২৪১৯ভোট)। মুরাদ খান পেয়েছেন ২৩৫১ ভোট। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন মো: কাওসার মিয়া(৩৬২৭)। করোনাকালে ওএমএস তালিকা প্রনয়নে ব্যাপক অনিয়মে জড়িয়ে বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মো:মাকবুল হোসাইন প্রতিদ্বন্ধিতা করে তৃতীয় হয়েছেন এবার। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন সাকিল(২৩৯২ভোট)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন আবদুল হাই ডাবলু। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহারও পরাজিত হয়েছেন। করোনায় ওএমএস ও নগদ টাকার তালিকা কেলেংকারীতে বরখাস্ত হয়েছিলেন তিনি। এখানে জয়ী হয়েছেন মো: আনোয়ারুল ইসলাম(ভোট ৩৬৫৯)। সংরক্ষিত ৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম(ভোট ৬১৫৮),২ নম্বর ওয়ার্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৯৫ ভোটে হেরেছেন বর্তমান কাউন্সিলর হালিমা আক্তার কাজল(৩৮৩৯)। জয়ী হয়েছেন ৩৯৩৪ ভোট পেয়ে শাহানা বেগম। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মিনারা বেগম(৪২৮৩),৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিলুফা ইয়াছমিন(৮৪৮৬ ভোট)। সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ৫৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওদিকে প্রতিদ্বন্ধি ৬ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। তারা হচ্ছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম(ভোট ৩৮৭), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল মালেক(৯৭২) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কারীম(১৪৪৮)। নির্বাচনী বিধি মোতাবেক প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়।