রাজধানীর সবুজবাগে পোশাক কারখানার এক কর্মীকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মচারী সনজিব কুমার দাস ও তার সহযোগী আনিকার ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আসামীদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজগর আলী। পরে আদালত ৫ দিন করে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার ১ মার্চ দিবাগত রাতে মাদারটেক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সবুজবাগ থানা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান বলেন, কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা এক নারীকে ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নাম করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ মাদারটেকের একটি বাসায় ডেকে নিয়ে যান সনজিব দাস। তার সঙ্গে রাসেল, জামাল, আজিজুর রহমান ও আনিকা নামে এক নারী ওই বাসায় ছিলেন। সেখানেই ওই নারীকে সনজিবসহ অন্যরা ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় সোমবার সবুজবাগ থানায় সনজিবকে ১ নম্বর আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনিকা ও সনজিবকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ৫ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পূর্বপরিচিত সনজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কুশল বিনিময়ের সময় তিনি তার সন্ধানে ব্যাংকে ভালো চাকরি থাকার কথা জানান। পরে চাকরি দেয়ার কথা বলে মাদারটেকের ওই বাসায় ডেকে নেন। একপর্যায়ে সেখানে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। সেখানে উপস্থিত নারী আনিকা এ কাজে তাদেরকে সহায়তা করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সনজিব ওই নারীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।