× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাতছড়ি বন থেকে ১৮ রকেট লাঞ্চারের গোলা উদ্ধার

অনলাইন

চুনারুঘাট প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) মার্চ ৩, ২০২১, বুধবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী সাতছড়ির গহীন অরণ্য থেকে আবারও বিপুল ভারী অস্ত্রের গোলা উদ্ধার করা হয়েছে। সাতছড়ি বন থেকে এবার অস্ত্র উদ্ধার করেছে বিজিবি। বিজিবি’র ৫৫ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল সামি-উন নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। মঙ্গলবারের এই অভিযানে ১৮টি রকেট লাঞ্চারের গোলা উদ্ধার করা হয়। সামি-উন নবী চৌধুরী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, সাতছড়ির গহীন বনের একটি গোপন ব্যাংকারে গোলা বারুদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা সেখানে মঙ্গলবার বিকাল থেকে অবস্থান নেন। টানা ১০ ঘন্টার অভিযান শেষে রকেট লাঞ্চারের গোলা উদ্ধার করা হয়। সাতছড়ি বনে এতো বিপুল পরিমাণ গোলা বারুদ কোথা থেকে এসেছে তা জানাতে পারেনি তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, ১টি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, ১টি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল ও প্রায় ১৬ হাজার গুলিসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।
একই বছরের ১৬ অক্টোবর উদ্ধার করা হয় ৩টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ২৫০টি গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১টি রেডিও।
এর এক দিন পর ১৭ অক্টোবর আবারও উদ্ধার করা হয় এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০টি, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২টি, পিস্তলের ৫১৭টি, মেশিনগানের ৪২৫টিসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪টি বুলেট। পাশাপাশি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয় ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট। একই বছর একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩টি আরপিজি বিস্ফোরক, ১১টি রকেট লাঞ্চারের চার্জার ও ১৩টি রাবার পাইপ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হলো ১৮টি রকেট লাঞ্চার।
২০০৩ সালে ২৭ জুন বগুড়ার কাহালুতে আনারসভর্তি ট্রাকে (নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩৩৬৬) যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধরা পড়েছিল, এ অস্ত্রের চালানটি সাতছড়ি থেকে গিয়েছিল। সে সময়ে ওই গাড়ির চালক বাহুবলের আলতু মিয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনার সঙ্গে সাতছড়ি টিপরা বস্তির হেডম্যান যোগেশ দেব বর্মার ভাতিজা আশীষ দেব বর্মা জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে চার্জশিট হয়। তবে এখন পর্যন্ত আশিষ দেব বর্মাকে আটক করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর