× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিল ইলহান ওমরের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) মার্চ ৩, ২০২১, বুধবার, ১:৪২ অপরাহ্ন

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিল এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমর। মঙ্গলবার এই বিল আনার মধ্য দিয়ে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং প্রেসিডেন্ট হো বাইডেনের সঙ্গে বিরূপ সম্পর্কে জড়ালেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রস্তুত করা জামাল খাসোগি হত্যার রিপোর্ট শুক্রবার প্রকাশ করে অফিস অব দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স। এতে ২০১৮ সালে সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য ক্রাউন প্রিন্সকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, জামাল খাসোগিকে তুরস্ক থেকে জীবিত ধরে নিতে অথবা মৃত অবস্থায় ধরে নেয়ার অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সোমবার সৌদি আরবের বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার আহ্বান জানান খাসোগির বাকদত্তা হ্যাতিস চেঙ্গিস। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সেই আহ্বানে। মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত মুসলিম ডেমোক্রেট ইলহান ওমর মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিল এনে বলেন, এটা আমাদের মানবতার এক পরীক্ষা। যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন করে, তাহলে মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা না দেয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। ক্রাউন প্রিন্স এমন এক ব্যক্তি যাকে আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দারা এই হত্যায় অনুমোদন দেয়ার জন্য দায়ী করেছেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে শাস্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অস্বস্তিকর এক অবস্থায় পড়বেন ইলহান ওমর। মার্কিন প্রশাসন ক্রাউন প্রিন্সকে শাস্তি দিতে চায় না তাদের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতির কারণে। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে শায়েস্তা করতে হলে সৌদি আরবের মতো বৃহৎ মুসলিম দেশের সমর্থন প্রয়োজন। এ জন্য হয়তো প্রশাসন ক্রাউন প্রিন্সকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রেখেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর