রান খরায় ভুগতে থাকা অ্যারন ফিঞ্চ করলেন ফিফটি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুললেন। আর তাতেই দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটসম্যানদের জ্বলে ওঠার দিনে রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন অ্যাস্টন আগার। এই বাঁহাতি স্পিনারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে সিরিজে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬৪ রানে হারিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। অস্ট্রেলিয়ার করা ৪ উইকেটে ২০৮ রানের জবাবে ১৪৪ রানে থামে কিউইরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে স্বাগতিকরা।
অ্যাস্টন আগারের ৩০ রানে ৬ উইকেট টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
ব্যাট হাতে ফর্মহীনতা থাকলেও ক’দিন আগেই টি-টোয়েন্টিতে লম্বা সময়ের জন্য নেতৃত্বের নিশ্চয়তা পেয়েছেন ফিঞ্চ। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অজিদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এই ওপেনার। বিগ ব্যাশে ১৩.৭৭ গড়ে করেন ১৫৩ রান। দল পাননি আইপিএলের ১৪তম আসরের নিলামে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে তার মোট রান ১৩। তুমুল সমালোচনার মধ্যেও বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্বের নিশ্চয়তা পান ফিঞ্চ। ‘নির্ভার’ ফিঞ্চ জ্বলে উঠতে সময় নিলেন না। সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে ৪৪ বলে করেন ৬৯ রান। ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন না গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান রানে ফিরলেন। ৫ ছক্কা ও ৮ বাউন্ডারিতে ৩১ বলে করেন ৭০ রান। জস ফিলিপস করেন ২৭ বলে ৪৩ রান। লেগ স্পিনার ইশ সোধি ৩২ রানে নেন ২ উইকেট।
ওয়েলিংটনের দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ২০৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে দারুণ শুরু করে নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৫৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ১৩ ওভারেই ৩ উইকেটে ১০৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে কিউইরা। এরপর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অ্যাস্টন আগার। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ১২ রান দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দ্বিতীয় স্পেলে এসে ১৩তম ওভারে তুলে নেন ৩ উইকেট। দারুণ ছন্দে থাকা কনওয়েকে (২৭ বলে ৩৮ রান) সাজঘরে ফেরানোর আগে তুলে নেন গ্লেন ফিলিপসের (১০ বলে ১৩ রান) উইকেট। আগারের ঘুর্ণিতে ৩৫ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১৭.১ ওভারে ১৪৪ রানে শেষ হয় কিউইদের ইনিংস। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা অ্যাস্টন আগার। শুক্রবার ওয়েলিংটনেই চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।