× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে মুশতাকের মৃত্যুর তদন্ত অপরিহার্য

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৪ মার্চ ২০২১, বৃহস্পতিবার

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকারের নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সমাবেশে ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবেদন পড়ছি। অতি সমপ্রতি লেখক মুশতাক আহমেদের কাশিমপুর কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংবাদ পড়েছি। তার জামিন আবেদন ৬ বার নামঞ্জুর করা হয়। শেষবার যখন তাকে আদালতে আনা হয় তখন তার শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট অবনতি ঘটেছিল।
কিন্তু তার পরও তাকে জামিন দেয়া হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে মুক্ত চিন্তা, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চরমভাবে খর্ব করা হয়েছে। মানবাধিকার কর্মী ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই আইনের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো সংশোধনের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং এর অপব্যবহার বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। একইভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। এই কালো আইনটির অপব্যবহারের চরম বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে লেখক মুশতাক আহমেদের কারা হেফাজতে মৃত্যু। একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সার্বিক অবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত অপরিহার্য। এ ঘটনা নাগরিকদের বিবেককে আহত করেছে। ফলে আজ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে যাতে করে মুশতাকে মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করা হয় ও তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর