প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোববারের ব্রিগেড জনসভার শেষমুহুর্ত পর্যন্ত আগ্রহ বজায় থাকবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই সভায় এলেন কিনা। সৌরভ শিবির থেকে বুধবার রাতে সাফ জানান হয় যে বাংলার মহারাজ কোনোমতেই রবিবারের ব্রিগেডে থাকছেন না। রাজনীতি থেকে তিনি দূরেই থাকতে চাইছেন। কিন্তু সর্বভারতীয় বিজেপি নেতারা জানেন সৌরভ একবার ব্রিগেডে এলেই গেম চেঞ্জার এর ভূমিকা নেবেন। মোদির সভায় সৌরভ -এই শিরোনামটিই কেল্লা ফতে করতে পারে তাই তারা চেষ্টায় ক্ষান্তি দেননি সৌরভকে রোববারের সভায় হাজির করার জন্যে। যদিও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে, তার পরিবার কিংবা সৌরভ শিবির নিশ্চুপ এ ব্যাপারে, কিন্তু বিজেপির দিক থেকে চাপ, প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চলছে। ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য অমিত শাহ থেকে তার পুত্র, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব জয় শাহ পর্যন্ত আসরে নেমে পড়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভকে বসাতে অনেকটা অবদান ছিল অমিত শাহের। অমিত এখন প্রতিদান চাইছেন। একটা সময়ে সৌরভ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপির মুখ হবেন, এমন জল্পনারও ডানা মেলেছিল।
ভারতীয় দলের নেতৃত্ব, বোর্ডের সভাপতিত্বের পর নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে সৌরভের দ্বিধা থাকলেও নিমরাজি হন তিনি। কিন্তু এরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন সৌরভ। তার হৃদযন্ত্রে তিনটি স্টেন্ট বসে। নির্বাচনে বিজেপির মুখ হলে প্রচার, নির্বাচনী বৈঠক, ছোটাছুটির ধকল নিতে অপারগ সৌরভ এরপরই রাজনীতির পিচে না নামার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কমলি কম্বল ছাড়ছে না। সৌরভকে এই নির্বাচনে তারকা প্রচারক হিসেবে হলেও চাইছে বিজেপি। তারা মরীয়া সৌরভকে পেতে। সৌরভ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেত্রী বৈশালী ডালমিয়া থেকে অমিত পুত্র জয় শাহ পর্যন্ত আসরে নেমে পড়েছেন। এমনকি ব্রিগেডে সৌরভকে সম্বর্ধনা দেবার মোড়কে প্রধানমন্ত্রী যদি তার গলায় একবার উত্তরীয় পরিয়ে দিতে পারেন তাহলেই বিজেপির অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে। তাই তারা সৌরভকে ব্রিগেডে হাজির করাতে জান প্রাণ কবুল করছে। সৌরভ তার ক্রিকেট জীবনে, নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বারবার ঝুঁকি নিয়েছেন। রাজনৈতিক ফাটকাটি তিনি খেলবেন কিনা তাতে সন্দেহের অবকাশ আছে।