× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিএনএনের রিপোর্ট / জেঅ্যান্ডজের টিকা নিয়ে ক্যাথলিকদের নিরুৎসাহ, কিন্তু কেন?

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) মার্চ ৪, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

পরিত্যক্ত মানবভ্রুণের টিস্যু থেকে কোষ নিয়ে টিকা তৈরি করা হয়েছে, এমন অভিযোগে জনসন অ্যান্ড জনসনের (জেঅ্যান্ডজে) আবিষ্কার করা করোনা ভাইরাসের এক ডোজের টিকা নিতে ক্যাথলিকদের নিরুৎসাহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশপ। তাদের অনুসারীদের পরামর্শ দিয়েছেন জেঅ্যান্ডজের টিকা বাদ দিয়ে বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো কোম্পানির টিকা নিতে। স্বাস্থ্য ও সরকারি কর্মকর্তারা যখন মার্কিনিদের টিকা নিতে উৎসাহিত করছেন তখন চার্চের সদস্যদের এমনভাবে নিরুৎসাহিত করছেন ওইসব বিশপ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ৬টি ভিন্ন এলাকার ক্যাথোলিকদের জেঅ্যান্ডজের টিকা না নিতে এমন পরামর্শ দিচ্ছে ইউএস কনফারেন্স অব ক্যাথলিক বিশপস। তারা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ১৯৮০র দশকে পরিত্যক্ত মানবভ্রুণ থেকে কোষ ব্যবহার করে ল্যাবরেটরিতে টিকা তৈরি করেছে জেঅ্যান্ডজে। তাই এই টিকা ‘নৈতিক আদর্শের’ কারণে নেয়া ঠিক হবে না।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় টিকা হিসেবে জেঅ্যান্ডজের টিকা অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
এর আগে অনুমোদন দেয়া হয় ফাইজার/বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকা। এ দুটি টিকাই দুটি করে ডোজ নিতে হয়। কিন্তু জেঅ্যান্ডজের টিকা একটিমাত্র ডোজ নিতে হয়। এই টিকা রাখা যায় সাধারণ রেফ্রিজারেটরে। ফলে এই টিকা পরিবহনও খুব সহজ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন যে, তারা যেসব টিকা অনুমোদন দিয়েছেন তা নেয়া উচিত। এ বিষয়ে অ্যালাবামা ভ্যাক্সিন রিসার্স ক্লিনিকের পরিচালক ড. পল জিওপফার্ট গত মাসে বলেছেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা যদি লোকজনকে নিতে বলা হয়, তাহলে তাতে তাদের আপত্তি তোলা উচিত নয়। এখন এমন কোনো সময় না যে টিকা কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে তৈরি হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। টিকা পেলেই তা নিয়ে নেয়া উচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে জেঅ্যান্ডজের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য, অনুমোদন দেয়ার আগেই রোমান ক্যাথলিক চার্চ- কংগ্রেশন ফর দ্য ডকট্রিন অব দ্য ফেইথ বলেছে, করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে নৈতিকতা গ্রহণযোগ্য। এই টিকার গবেষণায় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে পরিত্যক্ত ভ্রুণের সেল। কিন্তু পোপ ফ্রাঁসিস এ টিকা অনুমোদন দিয়ে নোট দিয়েছেন জানুয়ারিতে। তারপরও কনফারেন্স অব বিশপসের পক্ষ থেকে এ জাতীয় বিবৃতিকে বিভ্রান্তিকর বলে মনে করা হচ্ছে।

ওদিকে সিএনএনের কাছে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে জেঅ্যান্ডজে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের কাছে করোনা ভাইরাসের টিকা আনতে পেরে আমরা গর্বিত। একই সঙ্গে এই মহামারি শেষ করে দিতে আমরা অবদান রাখতে পেরে গর্বিত। আমাদের এক মাত্রার টিকায় ব্যবহার করা হয়েছে অসংক্রামক ‘অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর’, যা ঠা-াজনিত ভাইরাসের মতো। এতে কোনো ভ্রুণের কোষ ব্যবহার করা হয়নি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেল-লাইন সিস্টেম ব্যবহার করে লাখ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি আমরা। এসব টিকা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই এবং খুব সঙ্কটজনক মানুষের উপকারে তা ছড়িয়ে দিতে চাই। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও একজন ক্যাথলিক। তবে কনফারেন্স অব বিশপসদের ওই বিবৃতি বুধবার ফিরিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। প্রশাসনিক এক কর্মকর্তা গত ডিসেম্বরে ভ্যাটিক্যান থেকে পোপ ফ্রাঁসিসের দেয়া বিবৃতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। বলা হয়েছে, এ বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।

টিকা উৎপাদনের সময় উৎপাদনকারীরা অনেক সময় ভ্রুণের কোষ বা সেল ব্যবহার করে থাকেন। ফাইজার/বায়োএনটেক অথবা মর্ডানা তাদের টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ভ্রুণের টিস্যু থেকে সেল লাইন ব্যবহার করেছে। নেব্রাস্কা মেডিসিনের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. জেমস ললার এসব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের টিকা তৈরি, তা নিশ্চিতকরণ এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় এটাই ব্যবহার করেছে। সেল ব্যবহারের মাধ্যমে জনসন অ্যান্ড জনসন অন্য দুটি টিকার থেকে ভিন্নভাবে তাদের টিকা তৈরি করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর