আগের টেস্টেও প্রথম দিনেই ইংল্যান্ডকে অলআউট করে ভারত। চতুর্থ টেস্টেও একই পরিণতি সফরকারীদের। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেলের ঘুর্ণিতে দুইশ পেরিয়েই শেষ ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। বেন স্টোকস-ড্যান লরেন্সের প্রতিরোধের পরও মাত্র ২০৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে জো রুটের দল। শুভমন গিলের উইকেট হারিয়ে ২৪ রানে দিন শেষ করেছে ভারত। স্বাগতিকরা পিছিয়ে ১৮১ রানে। রোহিত শর্মা ৮ ও চেতশ্বর পুজারা অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে। আহমেদোবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জো রুট।
আগের টেস্টের চেয়ে এই উইকেট কিছুটা ভিন্ন। উইকেটে ঘাস থাকায় দিনের শুরুতে সুইং পেয়েছেন পেসাররা। সময় গড়ানোর সঙ্গে টার্ন পেয়েছেন স্পিনাররা। গতির সঙ্গে বাউন্স আর সুইংয়ে দুই ইংলিশ ওপেনার ডম সিবলি ও জ্যাক ক্রাউলিকে ভুগিয়েছেন ইশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ সিরাজ। তবে দুই ওপেনারই ফেরেন অক্ষর প্যাটেলের বাঁহাতি স্পিনে। দ্রুতই জো রুটকে (৫ রান) সাজঘরের পথ ধরান সিরাজ। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে পথ দেখাচ্ছিলেন জনি বেয়ারস্টো-বেন স্টোকস জুটি। বেয়ারস্টোকে (২৮ রান) ফিরিয়ে জমে যাওয়া জুটি মধ্যাহ্ন বিরতির পরই ভাঙেন সিরাজ। একপ্রান্ত আগলে বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন স্টোকস। অলি পোপের সঙ্গে স্টোকসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলো সফরকারীরা। ১২১ বলে ৫৫ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার হন স্টোকস। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অলি পোপও। পোপকে ২৯ রানে ফিরিয়ে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান বেন ফোকসকে (১ রান) দ্রুতই সাজঘরে পাঠান অক্ষর। একপ্রান্তে দারুণ লড়াই করছিলেন ড্যান লরেন্স। তবে অক্ষর প্যাটল এক ওভারের মধ্যে লরেন্স (৪৬ রান) ও ডম বেসকে ফেরালে দুইশ’র নীচে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে ইংল্যান্ড। শেষ উইকেটে জেমস অ্যান্ডারসন ও জ্যাক লিচের ১৬ রানের জুটিতে ২০৫ রান করতে পারে ইংলিশরা। অক্ষর প্যাটল ৪টি ও অশ্বিনের শিকার ৩ উইকেট। ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে রান যোগ হওয়ার আগেই শুভমন গিলের উইকেট হারায় ভারত। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। অ্যান্ডারসন ৫ ওভার বল করে কোন রান দেননি।