× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জামালপুরের সেই ডিসির যে শাস্তি হলো

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৫ মার্চ ২০২১, শুক্রবার

নারী সহকর্মীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের শাস্তিস্বরূপ মাসিক সম্মানী কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি তার চাকরিজীবনে আর কোনো পদোন্নতি পাবেন না। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৪(৩)(ক) অনুযায়ী আহমেদ কবীরকে তিন বছরের জন্য নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমন করা হয়েছে। ফলে আগামী তিন বছর ওই কর্মকর্তা বেতন পাবেন অর্ধেক। আর সরকারি চাকরি জীবনের অবশিষ্ট সময়ে কখনো পদোন্নতি পাবেন না তিনি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপ-সচিব হিসেবে বর্তমানে পঞ্চম গ্রেডে বেতন পান একজন কর্মকর্তা।
শাস্তি হওয়ায় আহমেদ কবীরের বেতন ধরা হবে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপে। মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে কমে কবীর পাবেন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। তবে অন্যান্য ভাতা ও সুবিধা বহাল থাকবে। তিনি ভবিষ্যতে ওই মেয়াদের কোনো বকেয়া সুবিধা পাবেন না। এ ছাড়া তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার সাময়িকভাবে বরখাস্তকাল ‘অসাধারণ ছুটি’ হিসেবে গণ্য হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের আগস্টে জামালপুরের ডিসি থাকা অবস্থায় আহমেদ কবীরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে কবীরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি ভিডিও’র মৌলিকতার বিষয়ে সাইবার ফরেনসিক ও সিআইডি’র মতামত চায়। ভিডিওটি পরীক্ষা করে সাইবার ফরেনসিক ও সিআইডি ভিডিওটি সঠিক মর্মে মতামত দেয়। অফিস চলাকালীন ও অফিসের অভ্যন্তরে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড সরকারি চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থি হওয়ায় আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুসহ তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হলে তিনি ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। শুনানিতে তার মৌখিক বক্তব্য ও লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তার প্রথম প্রতিবেদন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তাকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে আহমেদ কবীরকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এই নোটিশের জবাব দাখিলের পর সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর