× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এই সরকারকে সরাতে হবে: ফখরুল

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৫ মার্চ ২০২১, শুক্রবার

সবাই মিলেই এই সরকারকে সরাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই প্রেস ক্লাব এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় পুরানা পল্টন মোড়, হাইকোর্ট মোড়, সচিবালয় এলাকায়, কদম পোয়ারা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে দলটি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে এই সরকারকে সরাতে হবে। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই।
আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কারণে এই সরকারের পতন হবে। এই সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আপনারা দেখেছেন খুলনা, রাজশাহীতে বাস বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। বরিশালেও একই কায়দায় তারা বন্ধ করেছে। কিন্তু তারা বন্ধ করতে পারেনি জনগণের উত্তাল তরঙ্গকে। জনগণ ঠিকই সমাবেশ সফল করেছে।
তিনি বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি রাষ্ট্রীয় মদতে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমরা সেদিনই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে কার্টুন আঁকা বা লেখার কারণে সাত বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহবধূকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা।
তিনি বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণ একটি অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার। তাদের জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে। আর টিকে থাকার জন্য এই ধরনের সম্পূর্ণ গণবিরোধী আইন তৈরি করেছে। যে আইনের মাধ্যমে জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি, যে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, যাদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি। গত ২৮ তারিখে এখানে সমাবেশে পুলিশি হামলা চালিয়ে আমাদের যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অমানবিক নির্যাতন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি এবং তারেক রহমানসহ যেসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে ওই সাজা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেয়া গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর আমাদের শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। আসুন সকল রাজনৈতিক দল আমরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করে দাঁড়াই।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ- সভাপতি মুরতাজুল করিম বাদরু, সহ- সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর