২০১৩ সালে একসঙ্গে টলিউডের বেশ কয়েকজন যোগ দিয়েছিলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি)। যাদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়ও। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই সেসময় যোগ দেয়া বিজেপি ছাড়েন সুভদ্রা। কারণ হিসেবে তখন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "মোদীজিকে দেখে অত্যন্ত উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম যে একটা মানুষ আমার দেশের জন্য, দশের জন্য এতটা ভাবছে। আমি ভেবেছিলাম তার স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য, তার পায়ের তলার কর্মী হয়ে আমি কাজ করব। আমি বরাবর ওইভাবেই দলে থেকেছি। কোনোদিন কোনো পদ চাই নি। আমি নিজেকে সাধারণ কর্মীই মনে করি।
কিন্তু তার যে ভাবনা দেখে আমি প্রলুব্ধ হয়ে রাজনীতিতে এসেছিলাম, সেগুলো আর চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি না… সবকিছু বিধ্বংসী লাগছে! ২০১৯-এর পরে যেন সব বদলে গিয়েছে।"
এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সেই সুভদ্রা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাজার উপস্থিতিতে সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে নেন তৃণমূলের পতাকা।
পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকাগুলোর খবর- যোগ দিয়েই বিজেপিকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে আক্রমণ করেন অভিনেত্রী।
সুভদ্রা জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর স্লোগান শুনেই যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মোহভঙ্গ হয়েছে অনেক আগেই। যাদের মনুষ্যত্ব আছে, তারা বিজেপি করা ছেড়ে দেবেন। মেয়ের জন্মদিনে ভাল কাজ করা উচিত ভেবেই তিনি বিজেপি ছেড়েছিলেন।
বিজেপির প্রতি তোপ দেগে সুভদ্রার মন্তব্য, “এই দলের মতো একটা ফ্যাসিস্ট পার্টির থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আমি চাই পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে। পশ্চিমবঙ্গকে আবার সবুজ করে তুলতে। চাই না উত্তরপ্রদেশের গঠনে তৈরি হোক আমাদের বাংলা। তা হলে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গ আর থাকবে না। একেবারে শেষ হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। ভাষাকে বাঁচাতে হবে। বিজেপি এলে বাংলা ভাষা বলে কিছু আর থাকবে না! কী খাবেন সেটাও ওরা ঠিক করে দেবে।”