× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আরো কমেছে

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) মার্চ ৫, ২০২১, শুক্রবার, ৪:৩৮ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমেছে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৪ শতাংশের মতো।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিনে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩১৯ কোটি টাকা; যা আগের বছরের ফেব্রুয়ারি (২৯ দিন) মাসে ছিল ৩৩২ কোটি টাকা।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৪৫ শতাংশ এবং বর্তমান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৬১ শতাংশ কম।

২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ২৬২৪ কোটি ডলার।

রপ্তানিকারকরা জানান, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের বাজারে কাঙ্ক্ষিত গতি আসছে না।

আট মাসের হিসাবে নিট পোশাক রপ্তানি গতবছরের একই সময়ের তুলনায় বাড়লেও উভেন পণ্যে রপ্তানি ক্রমাত কমছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ১৩৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে এক হাজার ৮৯ কোটি ডলার ছিল।

অর্থাৎ, আট মাসে এই খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.০৬ শতাংশ। এই অংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৭৮ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯৬৯ কোটি ডলারের উভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের আট মাসের তুলনায় সাড়ে ১১ শতাংশ কম। জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে এ খাতে ১০.৮৫ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল।

এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মহামারির মধ্যেও যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি তার চেয়ে ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। তবে সুতার অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে সুখবর না এলেও ফেব্রুয়ারি মাস শেষে আট মাসে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে। জুট ইয়ার্ন বা পাটের সুতা রপ্তানিও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

একইভাবে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি খাতে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৩৮ শতাংশ, ওষুধ রপ্তানিতে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং চামড়ার জুতা রপ্তানিতে ০.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

অন্যদিকে এই সময়ে হিমায়িত মাছ রপ্তানি আগের বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১০ শতাংশ, চিংড়ি রপ্তানি ১৮ শতাংশ, সিরামিক পণ্য ১৩ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৪ শতাংশ কমেছে।।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর