× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নান্দনিক পার্ক মরুদ্বীপ ’৭১

বাংলারজমিন

মো. রফিকুল হায়দার টিটু, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেক
৬ মার্চ ২০২১, শনিবার

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা সদর থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত লোহাজুরী ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের এক নিভৃত পল্লী ‘কুড়ের পাড়’ গ্রাম। ১০/১২ বছর পূর্বেও এই ইউনিয়নটিকে তাচ্ছিল্য করে ‘আফ্রিকার জঙ্গল’ বলে ডাকা হতো। এই কুড়ের পাড় গ্রামের এক সৃজনশীল ব্যক্তি লায়ন এডভোকেট নূরুজ্জামান ইকবাল। ২০১০ সালে তার পৈত্রিক বাড়ির সামান্য জায়গা নিয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ২০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তুলেছেন এই নান্দনিক পার্ক- মরুদ্বীপ’৭১। যেখানে রয়েছে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম আত্মত্যাগী নেতা ক্ষুদিরাম বসু থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। তাছাড়া রয়েছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাষানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ শতাধিক বরেণ্য ব্যক্তিদের ভাস্কর্য।
রয়েছে স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনারসহ অসংখ্য স্থাপনা আর বিরল প্রজাতির গাছ-গাছালি, নানা কারুকাজে বাঁধানো লেক পাড়, রাস্তার দু’পাশে বাহারি ফুলের সমাহার। ৫২-৭০ পর্যন্ত ইতিহাসকে ধারণ করে দেয়ালে দেয়ালে পোড়ামাটির টেরাকোটায় স্থাপিত চিত্রলিপি পার্কের নান্দনিকতাকে পৌঁছে দিয়েছে আরো উচ্চমার্গে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে শত শত লোক বিনোদনের জন্য ছুটে আসেন এই পার্কে। পার্কের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লায়ন এডভোকেট মো. নূরুজ্জামান ইকবাল বলেন, হারিয়ে যাওয়া বাংলার কৃষ্টি-কালচার, যুদ্ধের স্মৃতিবহ দৃশ্যাবলী, ইতিহাসের কল্পচিত্র স্থাপন করে দেশ এবং দেশের বাইরের পর্যটকদের নির্মল বিনোদনের জন্য মরুদ্বীপ’৭১ কে একটি মডেল পার্ক হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর