সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গুল্টা বাজার শহীদ এম, মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের নির্মাণাধীন গেট ভেঙে ৪ জন নিহতের ঘটনায় অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই সিরাজগঞ্জ। পিবিআই সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার গত ৯ই ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ১৭ই মার্চ তাড়াশ উপজেলার গুল্টাবাজার শহীদ এম, মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের নির্মাণাধীন গেট ভেঙে হাট ফেরত ৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের পক্ষে আবদুস সাত্তার ও মিম খাতুন পৃথক ২টি মামলা দায়ের করে। জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ ৩ জনের কমিটি মামলাটি সরজমিন তদন্ত করে অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামানকে দায়ী করে রিপোর্ট প্রদান করেন। নিহতের ঘটনায় অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান নিজের দায় এড়াতে কলেজের সভাপতি গজেন্দ্রনাথ মাহাতোর সহযোগিতায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হকসহ ৪ জনের নামে ভুয়া রেজুলেশন করে হত্যা মামলার দায়ভার তাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। ওই ভুয়া রেজুলেশনের ঘটনায় মো. মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে গত ১৩ই জুলাই অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত পিবিআই সিরাজগঞ্জকে মামলাটির তদন্ত করে প্রতিবেদনের আদেশ দেন।
পিবিআই সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. রায়হান আলী তদন্ত করে অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান, কলেজের সভাপতি গজেন্দ্রনাথ মাহাতোসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রদান করেন।
পিবিআই সিরাজগঞ্জ উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. রায়হান আলী জানান, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন প্রদান করেছি।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান জানান, এ রকম অনেক মামলার তদন্ত রিপোর্ট আমার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছে- কোনোটিই টেকেনি। আশা করি এ রিপোর্টও কোনো কাজে আসবে না।