ভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্কের জের ধরে ঘুষি মারলে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাসনুর। গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ স্বীকারোক্তি দেন হাসনুর। এর আগে রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও একই তথ্য দেন হাসনুর। এদিকে নোমান হাসনুর বক্তব্য রেকর্ড শেষে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদকে পিটিয়ে খুন করা হয়। মওদুদ অগ্রণী ব্যাংক হরিপুর শাখার সিনিয়র অফিসার। এ ঘটনার পর খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সিলেটের ব্যাংকাররা আন্দোলনে নামেন। এদিকে ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া অটোরিকশা চালক নোমান হাসনুর ২৪শে ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশ আদালতের কাছে তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের আদালতে নোমান হাসনুরকে হাজির করা হয়। এরপর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক সাইফুর রহমান জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দিতে নোমান হাসনুর জানান, ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ব্যাংকার মওদুদ আহমেদকে জোরে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ অবস্থা দেখে ভয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে খবর পান মওদুদ মারা গেছেন।