× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ষড়যন্ত্রের জাল দেশে বিদেশে বিস্তৃত

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৬ মার্চ ২০২১, শনিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের । রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি’র এক নেতার বক্তব্যের সূত্র ধরে ওবায়দুল কাদের গতকাল সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ তুলেন। ১৫ই আগস্ট আর ২১শে আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতার বক্তব্য তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায় বিএনপি এখন আন্দোলন এবং নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশে-বিদেশে বিস্তৃত। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি’র এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ই আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিতপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ।
ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম এটা ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য। কিন্তু গত তিনদিনেও বিএনপি’র দলীয় কোনো বক্তব্য না আসায় আমরা কী ধরে নেবো এটা তাদের দলীয় বক্তব্য? যদি দলীয় বক্তব্যই হয় তাহলে আবারো বিএনপি’র ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র ও খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমাদের রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা আবারো স্পষ্টভাবে জানতে চাই বিএনপি নেতার প্রকাশ্যে হুমকি, এটা তাদের দলীয় বক্তব্য কিনা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের অবস্থান জনগণ আশা করে। সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপি এসব হুমকি-ধামকি বছরের পর বছর দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র আন্দোলন ও সরকার পতনের ঘোষণার ইতিমধ্যে যুগপূর্তি হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণ কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি রাজপথে। নির্বাচনে তাদের কোনো সাফল্য নেই। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিল। এখনো তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে। তাদের আন্দোলন ভাবনায় জনগণের কোনো ইস্যু নেই। আছে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার উগ্র বাসনা। বিএনপি ক্ষমতা ফিরে পেলে দেশকে আবারো সামপ্রদায়িকতার নিকষ অন্ধকারে ডুবিয়ে দেবে। তাদের রাজনীতি বহু ধারায় বিভক্ত। আর এই বিভক্ত রাজনীতি জনগণের কল্যাণের চেয়ে হুমকি ডেকে আনবে। বিএনপি কীভাবে আইনের শাসনের কথা বলে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে বিএনপি’র বিরোধিতার জবাবে তিনি বলেন, কোনো আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর সুষ্ঠু ও যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা। এই বিষয়টির দিকে সরকার কড়া নজর রাখছে। প্রযুক্তির এ বিশ্বে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তাও প্রয়োজন। আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয় সে বিষয়ে উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএনপি আজ এ নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে। সমালোচনা করছে। অথচ পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বহু রক্তের মূল্যে অর্জিত সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। অপারেশন ক্লিনহার্টে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের পরিবার যাতে বিচার চাইতে না পারে সে পথও বন্ধ করে খুনিদের দায়মুক্তি দিয়েছিল সংসদে আইন পাসের মধ্য দিয়ে। অথচ আজ তারা আইনের শাসনের কথা বলে। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ফখরুল সাহেব কথায় কথায় বলেন- সরকার নাকি অনির্বাচিত, জনগণ ভোট দেয়নি। আমি, আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই- আপনি নিজেও তো সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে আবার কোন অদৃশ্য ইশারায় শপথ গ্রহণ করলেন না। অন্যদিকে আপনার দলের এমপিরা সংসদে আছেন। তাদের কি আপনি এবং আপনার দলের প্রতিনিধিরা জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচিত করেছিলেন? জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি? আপনাদের যেসব প্রার্থী পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল তারা কি ভোট ডাকাতি করে জয়ী হয়েছে? সত্য আড়াল করতে উটপাখির মতো মুখ লুকানো কি ঠিক হবে? বিএনপি’র বৈপরীত্যে ভরা স্বার্থান্বেষী রাজনীতির ষোল আনাই এখন জনগণের কাছে পরিষ্কার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর