শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, সাহস থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি আসনে লড়ে দেখান বিধানসভা নির্বাচনে। মমতা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেন ভবানীপুরের আসনটি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ছেড়ে। মমতা বলেছেন, কথা রাখলাম। একটা আসনেই লড়ছি। হাসতে হাসতে জিতবো। তাই অন্য কোনো নিরাপদ আসন হাতে রেখে নন্দীগ্রামে যাচ্ছি না। বিজেপি নেতারা যতই একে ভবানীপুর থেকে পশ্চিম বাংলার মেয়ের পালিয়ে যাওয়া বলে লেবেল দিন, মমতা তাদের এবার চ্যালেঞ্জর মুখে ফেলে দিয়েছেন। মমতার সাহসের কথা লোকের মুখে মুখে।
মমতা শিবরাত্রির দিনে নন্দীগ্রামে বিশাল শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন দাখিল করবেন। নন্দীগ্রাম যুদ্ধে তার সেনাপতি, তৃণমূলে সদ্য সাধারণ সম্পাদক পদে বৃত সুশান্ত ঘোষ দিদির দীর্ঘদিনের অনুগামী। লড়াকু ছাত্রনেতা থেকে তিনি আজ বোরো চেয়ারম্যান। সুশান্ত পৌঁছে যাচ্ছেন নন্দীগ্রামে শনিবার সদলবলে। মমতার জন্যে দুটি বাড়ি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। একটিতে তিনি থাকবেন। অন্যটিতে তাঁর অফিস হবে। ইতিমধ্যেই মমতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা নন্দীগ্রামে পৌঁছে গেছেন। দশ বছর আগে এই নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুরকে কেন্দ্র করে বাম শাসনের অবসানের পর রাজ্যে মমতার সূর্যোদয় হয়। দশ বছর পরে আবার ইতিহাসের শরিক হতে চলেছে নন্দীগ্রাম। মমতার প্রার্থীতালিকায় যেন সেই চ্যালেঞ্জ নেয়ার সুর। দার্জিলিং, কালিম্পঙ, কার্শিয়াং শরিক গোর্খা জন মুক্তি মোর্চাকে ছেড়ে মমতা যে ২৯১ জনের তালিকা দিয়েছেন, তাতে নতুন মুখ ১৪১ জন। ৫ জন মন্ত্রী, ২৮ বিধায়ক বাদ। ৫৭ থেকে কমে মুসলিম প্রার্থী ৩৫। সবেতেই যেন চ্যালেঞ্জর সুর। বিজেপি নন্দীগ্রামে চ্যালেঞ্জর মুখে। পশ্চিম বাংলার মেয়েকে হারানোটাই তাদের সামনে কঠিনতম কাজ।