× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কসবায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকদের সংঘর্ষ

বাংলারজমিন

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৭ মার্চ ২০২১, রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবা পৌর শহরের শাহপুর এলাকায় আরেক দফা ভাঙচুর হয়েছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। গতকাল পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ে এ কারণে শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক বছর পর গত শুক্রবার নিজের নির্বাচনী এলাকায় কসবায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য কসবা পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন ও তার সমর্থকরা আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা জানাতে উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী এমএ আজিজ ও তার সমর্থকেরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা পরিষদের যাচ্ছিলেন। এ সময় দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর ইটপাটকেল নিক্ষেপ। ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিয়েছে কমপক্ষে ১০টি মোটরসাইকেল। ভাঙচুর করে ব্যাংক ও বীমার কার্যালয়ের গ্লাস। ওই সংঘর্ষের জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবা পৌর শহরের শাহপুর এলাকায় আবারো দু’পক্ষের সমর্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কসবা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জসিম উদ্দিনের কার্যালয়টি ভাঙচুর করেছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গতকাল সকালে কসবা পৌর শহরের পুরাতন বাজার ও তার আশেপাশের এলাকায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করেছে। কসবা বাজারে জনসমাগম অনেক কমে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন বলেন, মন্ত্রী সবকিছু শুনেছেন, দেখেছেন। আমার কোনো লোকজন অন্যায় ভাবে ঝগড়া করতে যায়নি। আজিজের ভাই আমাদের লোকজনের ওপর আক্রমণ করায়। তারা শুধু প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আমি কোনো মামলা করেনি। মন্ত্রী মহোদয় যে সিদ্ধান্ত নিবেন, আমি তা-ই মেনে নিব।
কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমএ আজিজ বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে অভিনন্দন জানাতে আমিসহ আমার সমর্থিতরা উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় মেয়রের লোকজন আক্রমণ করেছে। আমার লোকজন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। মামলার প্রস্তুতি আছে। যদি মেয়রের লোকজন মামলা করে তাহলে আমিও মামলা করব। শাহপুর এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি বলেন, ওই এলাকায় ভাঙচুরের সময় আমি কসবায় ছিলাম। উত্তেজিত লোকজন হয়তো ভাঙচুর করেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভুইয়া বলেন, মন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই পক্ষের সংর্ঘষ ও ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হলেও কোনো পক্ষই থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ না পাওয়ায় থানায় মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ আইনগত কি ব্যবস্থা নিলেন এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, যেহেতু কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি, তাই মামলা হয়নি।
গত শুক্রবার কসবার অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর