× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বলতে পারি না আমরা স্বাধীন’

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) মার্চ ৮, ২০২১, সোমবার, ১:২৮ অপরাহ্ন

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও দেশের মানুষ স্বাধীন হয়েছে, এমনটা বলতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি। জাতীয়তাবাদী নারী দল এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নারী দিবসের র‌্যালি বের করে তারা। র‌্যালিটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারা পৃথিবীতে নারীদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যই আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করার কথা যারা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দেশ পরিচালনা করছেন। কিন্ত দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশের নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, সংগ্রাম করেছেন তাদেরকে অবহেলা করা হচ্ছে। আজকের এই দিনে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই বেগম রোকেয়াকে।
যিনি বাংলাদেশের নারীদের অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। নারী জাতির মধ্যে যিনি আলো জ্বালিয়েছেন যাতে করে তারা অন্ধকার থেকে আলোতে বেরিয়ে আসতে পারেন।

তিনি বলেন, আমি আজকের দিনে যে নারীকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করতে চাই তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের জন্য অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথম দেশে নারী অধিদপ্তর এবং মহিলা মন্ত্রণালয় তৈরী করেছিলেন। যেটি এর আগে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতে করা হয়নি। বাংলাদেশে নারীদের কল্যাণের জন্য যা কিছু করা হয়েছে তা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্ব থেকে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু নারীরা নয় বাংলাদেশের সকল মানুষ আজ নির্যাতিত, বন্দি, তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। কিন্তু এ সময়ে এসেও এদেশের ছাত্র, লেখক, সাংবাদিকদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আজকে দুর্ভাগ্য এ জাতির যে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা বলতে পারি না যে আমরা স্বাধীন। আমাদের মা বোনের নিরাপদে চলাচল করতে পারেন না। এই সরকার দেশের সকলের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং যখনই নারীদের অধিকার আদায় হবে, যখনই নারীদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে তখনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমি নারীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। এর সঙ্গে একটি কথা বলতে চাই, নারীদের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আজকে নারী পুরুষ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই দানব সরকারকে সরানোর জন্য কাজ করতে হবে। তাহলেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবো এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে একটা আলোকিত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের এক যুগ আমরা দোখলাম। এ সময়ে নারী নির্যাতনের উন্নয়ন হয়েছে। খবরের কাগজের পাতা খুললে নারী নির্যাতনের খবর ছাড়া কিছুই দেখা যায় না।

পুলিশের আইজিপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পুলিশের আইজিপি যখন র্যাবের ডিজি ছিলেন তখনো তিনি আন্দোলনের সময় ওনার পুলিশ সদস্যদের বলেছেন, “আপনারা কি গুলি পকেটে রাখবেন? গুলি আপনাদের পকেটে রাখার জন্য দেয়া হয়েছে?” আমি বলতে চাই, আইজি সাহেব বাংলাদেশের প্রতিটি বিরোধী দল, প্রতিটি মানুষ কি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী? যেখানে আপনি দেশের পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা হয়ে এমন নির্দেশ দিচ্ছেন। একথা আপনি আইজি হয়ে কিভাবে বলতে পারেন। আজকে আমরা যেটা দেখছি সেটা হচ্ছে বাকশালের নমুনা।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মহিলা দলের সহ সভাপতি নিলুফার চৌধুরী মনি, সহ-সভাপতি নেওয়াজ হালিমা আরলি, সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমূখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর