না, আমরা আর কোনো লিপ সার্ভিস দেখতে চাই না। আমরা চাই বিশ্ব বিবেক জেগে উঠুক। বিশ্ব নেতারা সম্মিলিতভাবে এমন পদক্ষেপ নিক। যাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ শিশুদেরকে মিয়ানমার মর্যাদার সঙ্গে তাদের স্বভূমে ফিরিয়ে নিতে এবং সমাজের সঙ্গে একীভূতকরণে বাধ্য হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.এ কে আবদুল মোমেন।
সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রাজধানীর রমনাস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাব ওই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমার সাড়ে ৩ বছরে ১৫ বার তাদের জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই সময়ে অভিযুক্ত দু'একজন জেনারেলের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দুনিয়া নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে তাদের কিছুই যায় আসে না। কারণ গণহত্যার দায়ে অল্প কয়জন সেনা কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করলেও সব দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বিশ্ব শক্তিগুলো ব্যর্থ, যা তাদের জন্য লজ্জারও।
রোহিঙ্গাদের বিশেষত নারী ও শিশুদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, তারা হোপলেস হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় যদি চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে তাহলে এটা শুধু এ অঞ্চল নয়, গোটা দুনিয়াকে বিপদে ফেলে দেবে। অশান্তির আগুন এক জায়গায় লাগলে তার তাপ বিশ্বজুড়ে অনুভূত হবে। সুতরাং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষত প্রভাবশালী রাষ্ট্র এবং বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর উচিত রাখাইনে যাওয়া এবং প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মনোনিবেশ করা। কক্সবাজার কিংবা ভাসানচর যেখানেই রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দিক না কেন এটা কোনো সমাধান নয়। সমাধান হচ্ছে তাদের ভালভাবে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা। রাখাইনে তাদের স্বভূমে, স্বজাতি এবং অন্যদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা। মিয়ানমার এবং বিশ্ব বিবেককে সেটা করতে টেকসইভাবে করতে হবে। কারণ রোহিঙ্গারা তাদের স্বভূমেই ফিরতে চায়, শান্তিতে বসবাস করেত চায়।