নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ের নয়াবাজারস্থ নিকি ট্রেডিংয়ের গোডাউনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদল গোডাউনের নৈশ প্রহরীকে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে একটি পিকআপ ও ২৬৮টি গ্যাস ভর্তি এলপিজি সিলিন্ডারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। ১৬ই ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটলেও গত ২০ দিনে পুলিশ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও কোনো ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী আঃ ওহাব ভূঁইয়া স্বপন ও তার পার্টনার নাজমুল হক। সোনারগাঁয়ের নয়াবাজারস্থ এশিয়ান হাইওয়ের পশ্চিম পাশে নিকি ট্রেডিংয়ের নামে বেক্সিমকো এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করে আসছেন হাজী আঃ ওহাব স্বপন ও তার বন্ধু নাজমুল হক। তারা সোনারগাঁ ও বন্দরের ডিলার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে গোডাউনের নৈশ প্রহরী সিরাজুল হক (৬৫) গেট তালাবদ্ধ করে গোডাউনের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে ৬/৭ জন ডাকাত প্রতিষ্ঠানের গেটের ৫টি তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এবং ঘুমন্ত নৈশ প্রহরী সিরাজুল হকের হাত-পা ও মুখ রশি দিয়ে বেঁধে ধারালো চাকু, ছুরি দেখিয়ে হত্যার ভয় দেখায় এবং গোডাউনে থাকা একটি নতুন পিকআপ (ঢাকা-মেট্টো-ন-১৫-৭১৭০) লোড করা অবস্থায় ৭৮টি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার, ডাকাতদের সঙ্গে আনা অপর একটি পিকআপ ও ট্রাকে আরো ১৯০টি গ্যাস ভর্তি বেক্সিমকো কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডার ও গোডাউনে থাকা এইচডি ৩২ ইঞ্চি সিসি ক্যামেরাসহ সিসি ক্যামেরার ডিভাইস লুট করে মদনপুরের দিকে চলে যায়। ডাকাতদের বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছর। ডাকাতরা ভোর ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ডাকাতি করে। মামলায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের পিকআপ চালক আল ইসলাম ও হেলপার আমিনুল ইসলাম এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, পিকআপটি উদ্ধার এবং চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।