রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের কাঁচাবাড়ি হিন্দুপাড়া গ্রামের সীমা রানী (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী দুই মাস আগে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাহ করা হয়। কিন্তু মেয়েটি কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে- তার কোনো হদিস পায়নি পুলিশ। আত্মহত্যার দুই মাস পর ওই মেয়েটির সঙ্গে এলাকার এক যুবকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হয়েছে।
৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও গোপনে আরেকজন তা মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ভিডিও’র যুবকটি ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান।
সীমা ৫ই জানুয়ারি নিজ বাড়িতে বিষপান করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওই দিনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এলাকাবাসীর ধারণা, হাফিজুল ইসলাম মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করতে একজনকে দিয়ে ওই ভিডিওটি ধারণ করে। পরে মেয়েটি জানতে পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
হাফিজুর দুইটি বিয়ে করেছিল। দুই স্ত্রীকেই তালাক দিয়েছে। তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার বাবা ইউনুছ বলেন, আমি ইউপি নির্বাচন করবো। প্রতিপক্ষ আমাকে ও আমার পরিবারকে ঘায়েল করতে এমন কাজ করিয়েছেন।
এদিকে, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে- ওই ভিডিওটি করেছিল হিন্দুপাড়া গ্রামের কালিপদের ছেলে বিপুল চন্দ্র (২৬)। মেয়েটি আত্মহত্যার পর হাফিজুর রহমান ভিডিওটি নেয়ার জন্য বিপুলের কাছে ধরনা দেয়। কিন্তু হাফিজুরকে ভিডিওটি দেয়নি বিপুল। বিষয়টি এলাকার ৩ যুবক জানতে পেরে ১৫ দিন আগে বিপুলকে আটক করে জোর করে তার কাছ থেকে মোবাইলের মেমরিকার্ড খুলে নেয়। ক্ষোভে ১৮ই ফেব্রুয়ারি বিপুলও বিষপান করে। সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, মেয়েটি মারা যাওয়ার পর ইউডি মামলা হয়েছে। কেন আত্মহত্যা করেছিল মেয়েটি- এমন বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।