× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানবাধিকার / বাংলাদেশে মানবাধিকার ৫০ বছরের যাত্রাপথ

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী

আসিফ নজরুল
২৬ মার্চ ২০২১, শুক্রবার

বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার পর। পাকিস্তান আমলে মৌলিক অধিকার দলনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন গণপরিষদ সংবিধানে মানবাধিকারের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছিল। যেমন: বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য মানবাধিকারগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ১৯৭২ সালের সংবিধানে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি আটকাদেশ দেয়ার বা জরুরি অবস্থা জারি করে মৌলিক অধিকার স্থগিত করার কোনো বিধান ছিল না।

তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র দু’বছরের মধ্যেই সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে মৌলিক অধিকারের বিধানগুলো খর্ব করে ফেলা হয়। এতে সংবিধান সংশোধন করে মৌলিক অধিকার খর্ব করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়, নিবারনমূলক বা নিবর্তনমূলক আটকাদেশ দেয়ার বিধান করা হয় এবং জরুরি অবস্থা জারি করে মানবাধিকার স্থগিত রাখার বিধান সংবিধানে সংযোজিত করা হয়। এরপর পরপর দু’টো সামরিক আমলসহ প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলে সংবিধান সংশোধনী বা সাধারণ আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার ব্যবস্থাকে দুর্বল করা হয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, এ সময়ে ভারত ও পাকিস্তানে বিভিন্ন সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে মানবাধিকার ব্যবস্থার বরং উন্নয়ন করা হয়েছে।


যেমন: অর্থনৈতিক অধিকার কীভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে বা কতটুকু হচ্ছে সে বিষয়ে সংসদে আলোচনার বাধ্যবাধকতা পাকিস্তানের সংবিধানে রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সংবিধানে সাম্প্রতিক সংশোধনীর মাধ্যমে শিক্ষাকে আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য মানবাধিকারের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ভারতে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অধিকারও দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের পর মানবাধিকারকে প্রসারিত বা শক্তিশালী করার মতো কোনো সংবিধান সংশোধনী করা হয়নি। বরং সংবিধান সংশোধনী করে যে ব্যবস্থাগুলো নেয়া হয়েছে তা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশি কঠোর। যেমন: আমাদের সংবিধানে নির্বতনমূলক আটকাদেশ দেয়া যায় একবারে ৬ মাস মেয়াদে, পাকিস্তান ও ভারতে দেয়া যায় ৩ মাসের জন্য। ডিটেনশন বা আটকাদেশের ন্যায্যতা পরীক্ষা করবে যে বোর্ড, তার গঠন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের দেশে সমস্যা বেশি। পাকিস্তানে রিভিউ বোর্ড গঠন করবে প্রধান বিচারপতি, সদস্যদের সকলকেই বিচারক হতে হবে, ১৫ দিনের মধ্যে আটকাদেশের কারণ জানাতে হবে। ভারতে এডভাইজারি বোর্ডের সদস্যরা সকলেই বিচারক বা বিচারক হিসবে নিয়োগযোগ্য। বাংলাদেশে এই বোর্ডে এদের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি অফিসার রাখারও বিধান রয়েছে বলে এখানে সরকারি হস্তক্ষেপের সুযোগ বেশি।  


বাংলাদেশের সংবিধানে সব মানবাধিকারের স্বীকৃতি নেই। অর্থনৈতিক অধিকারগুলো এদেশে আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে এসব অধিকারের উল্লেখ সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে আছে।

এখানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারগুলোকে আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যেমন সমাবেশ করার স্বাধীনতা। সরকার যদি ক্রমাগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ করার অধিকার ক্ষুণ্ন করতে থাকে তাহলে দলটি হাইকোর্টে গিয়ে তার সমাবেশ করার অধিকার বলবৎ করতে পারে।
সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ২৬ অনুচ্ছেদ থেকে ৪৭ক অনুচ্ছেদে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে এসব অনুচ্ছেদের মধ্যে শুধুমাত্র ২৭ থেকে ৪৪ অনুচ্ছেদে অধিকারগুলো বর্ণিত হয়েছে। বাকি অনুচ্ছেদগুলো মূলত কোন্‌ সব ক্ষেত্রে এসব অধিকার ভোগ করা যাবে না তার বর্ণনা রয়েছে।
সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারগুলোকে আলোচনার সুবিধার জন্য আমরা ৪ ভাগে ভাগ করতে পারি। ক) সমতা বা বৈষম্যহীনতার অধিকার খ) গ্রেপ্তার ও বিচার সম্পর্কিত অধিকার গ) স্বাধীনতা ভোগের অধিকার ঘ) জীবন ও মর্যাদার অধিকারসহ অন্যান্য অধিকার।

সমতার অধিকার: এই অধিকার সম্পর্কিত দর্শনটি বর্ণিত আছে ২৭ অনুচ্ছেদে। সেখানে বলা আছে যে আইনের চোখে বাংলাদেশের সব নাগরিক সমান। সমতাকে ভালো করে বুঝতে হলে বৈষম্যহীনতাকে বুঝতে হবে। আমাদের সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদে ৫ ধরনের বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে শুধুমাত্র নারী পুরুষ পরিচয়, ধর্ম, বংশ, গোত্র এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে কোনো ধরনের বৈষম্য করা যাবে না। যেমন সরকারি চাকরিতে আবেদনকারী একজন ব্যক্তির যোগ্যতা বেশি হলেও যদি অন্যজনকে এই বিবেচনায় চাকরিটি দেয়া হয় যে তার বাড়ি আর রাষ্ট্রপতির বাড়ি একই জেলায় তাহলে তা সংবিধানের লঙ্ঘন হবে। আবার একই চাকরিতে নারীদের যদি পুরুষদের চেয়ে কম পারিশ্রমিক দেয়া হয় সেটিও হবে বৈষম্য এবং সংবিধানের চোখে অবৈধ।

সংবিধান এরপরও কিছু বৈষম্য মেনে নিয়েছে। যেমন: মুসলিম পারিবারিক আইনে মেয়েরা ছেলেদের অর্ধেক সম্পত্তি পায়। সংবিধান এসব পারিবারিক আইন নিয়ে মাথা ঘামায় না। কারণ ২৮ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে নারী ও পুরুষ রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনে সমান অধিকার পাবে। উত্তরাধিকার বিষয়টি রাষ্ট্রীয় বিষয় নয়, এটি পারিবারিক বা ব্যক্তি আইনের বিষয়। এজন্য মুসলিম, হিন্দু ও খ্রীষ্টান পারিবারিক আইনে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক বিধান থাকলেও তা সংবিধান বিরোধী নয়।

২৮ অনুচ্ছেদে আবার রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনে  নারীদের প্রতি প্রগতিশীল বিধানও রয়েছে। এর ৪নং বিধানে বলা হয়েছে নারী, শিশু সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণের জন্য রাষ্ট্র বিশেষ কোনো বিধান করলে তা বৈষম্য বলে বিবেচিত হবে না। এ কারণেই চাকরি বা জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নারীদের যে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় তা বৈষম্য নয়। আবার আদিবাসী বা প্রতিবন্ধী- এরাও সমাজে বহুবছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত হয়ে আছে বলে এদের জন্য চাকরিতে কোটা রাখলে তা বৈষম্য বলে বিবেচিত হবে না। সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনতার কথা পুনরুল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই অনুচ্ছেদে কিছু ব্যতিক্রমের কথাও বলা আছে।

গ্রেপ্তার ও বিচারকালীন অধিকার: বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে গ্রেপ্তারকালীন ৩টি অধিকার হচ্ছে: অনতিবিলম্বে গেপ্তারের কারণ সম্পর্কে জানা আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা  এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির হওয়া।

অনুচ্ছেদ ৩৫-এ রয়েছে বিচারকালীন ও শাস্তি সম্পর্কিত অধিকার। যেমন: কোনো ব্যক্তি যে সময় অপরাধ করেছে সে সময়ের আইনে যে শাস্তির কথা বলা আছে তার চেয়ে বেশি শাস্তি তাকে দেয়া যাবে না বা কাউকে যন্ত্রণাদায়ক ও নিষ্ঠুর শাস্তি দেয়া যাবে না। এ অনুচ্ছেদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হচ্ছে নির্যাতন বিরোধী বিধানটি। এখানে বলা আছে যে কাউকে নির্যাতন করা যাবে না অমানবিক বা অবমাননাকর ব্যবহার করা যাবে না। অন্যান্য অধিকারের মধ্যে রয়েছে দ্রুত ও প্রকাশ্যে বিচার পাওয়ার অধিকার। এ ছাড়া অনুচ্ছেদ ৩১ আইনের চোখে সমানভাবে বিবেচিত হওয়ার ও সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

স্বাধীনতার অধিকার: অনুচ্ছেদ ৩৬ থেকে ৪০ পর্যন্ত বর্ণিত এই স্বাধীনতার অধিকারগুলো হচ্ছে: চিন্তা-বিবেক , বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, পেশা বেছে নেয়ার স্বাধীনতা, ধর্মপালনের স্বাধীনতা।

এসব অধিকারের উপর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে। তবে এসব রেসট্রিকশন বা নিয়ন্ত্রণের নামে যা খুশি রাষ্ট্র করতে পারে না। আমাদের সংবিধান অনুসারে এসব রেসট্রিকশন অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত হতে হবে, আইন দ্বারা আরোপিত হতে হবে এবং জনস্বার্থ বা জনশৃঙ্খলার মতো কারণভিত্তিক হতে হবে। কোনো অযৌক্তিক আইন করে বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলে হাইকোর্টের ক্ষমতা রয়েছে সেই আইনকে সংবিধান পরিপন্থি ও অবৈধ ঘোষণা করার।    

অন্যান্য অধিকার: অন্যান্য অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জীবনের অধিকার। অনুচ্ছেদ ৩১ এ বলা আছে জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে কাউকে বেআইনীভাবে বঞ্চিত করা যাবে না। যেমন কাউকে গুম করা বা মেরে ফেলার কোনো আইন দেশে নাই। এটি করা হচ্ছে সংবিধানের লংঘন।

অন্যান্য অধিকারের মধ্যে রয়েছে আইনানুগভাবে সম্পদ অর্জন, ভোগ ও হস্তান্তরের অধিকার, গৃহে সরকারি কোনো বাহিনীর প্রবেশ ও তল্লাশি হতে নিরাপত্তা ও চিঠিসহ বিভিন্ন যোগযোগে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার, মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য হাইকোর্টে মামলা রুজু করার অধিকার।


পৃথিবীর অন্য দেশের মতো মানবাধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বাস্তবায়নে সরকারকে অনেক ক্ষেত্রে কিছু করতে হয় না, বরং কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হয়। যেমন: সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকারের বাহিনীগুলোকে খুন ও গুমের মতো অপরাধ থেকে নিবৃত থাকতে হয়, ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্যাতন থেকে বিরত থাকতে হয়।

মানবাধিকার বাস্তবায়নের অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে এর লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা এর নজরদারি করা, এর লঙ্ঘনের প্রতিকার দেয়া, লঙ্ঘনকারীর শাস্তি নিশ্চিত করা। এসব দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দিষ্টভাবে সরকারের কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন: সংসদীয় কমিটি, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশন। এছাড়া তথ্য কমিশন, মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যম মানবাধিকার বাস্তবায়নে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশে কারো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে তার সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার দিতে পারে উচ্চ আদালত। সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৌলিক অধিকার ক্ষণ্ন্ন হলে তা বলবৎ করার জন্য সরাসরি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া যাবে। যেমন: আমার ভাই গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা হলে আমি হাইকোর্টে যেতে পারি। হাইকোর্ট তাকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দিতে পারে, জামিন দিতে পারে, উক্ত আদালতে হাজির করাতে বলতে পারে, এতে করতে ব্যর্থ হলে স্বয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব চাইতে পারে, জবাবে অসন্তুষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ দিতে পারে, এ আদেশ মানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গড়িমসি করলে এমনকি পুলিশের কর্তাদের আদালত অবমাননার জন্য শাস্তি দিতে পারে। তবে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন নিয়োগে কোনো সরকার তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রাধান্য দিলে এবং উচ্চ আদালতের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে উচ্চ আদালত প্রত্যাশিত ভূমিকা অনেক সময় রাখতে পারে না।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠনগুলো মানবাধিকার প্রসারে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন: আইন সালিশ কেন্দ্র ও অধিকার নিয়মিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে, প্রয়োজনে আইন সহায়তা প্রদান করে। তবে সরকার এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ ও নির্বতনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এদের কার্যকারিতা কমে যায়। একই কথা প্রযোজ্য গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও।

চূড়ান্ত বিচারে মানবধিকার বাস্তবায়ন অনেকাংশে নির্ভর করে সরকারের প্রকৃতি ও সদিচ্ছার ওপর, শক্তিশালী বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর এবং মানবাধিকার সম্পর্কে জনমানুষের সচেতনার ওপর। ৫০ বছরে এসব ক্ষেত্রে আমরা এতটাই পিছিয়ে গেছি যে সংবিধানে বর্ণিত মানবাধিকার অনেকাংশে কাগুজে অধিকারে পরিণত হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর