(পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তারকা কেন্দ্রগুলো নিয়ে মানবজমিনের অন্তর্তদন্তের আজ অষ্টম কিস্তি। লিখেছেন জয়ন্ত চক্রবর্তী)
হুগলির চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার সন্ধ্যায় দুটো গাড়ির কনভয় মুখোমুখি। একটিতে চ-ীতলায় সিপিএম প্রার্থী সংযুক্ত মোর্চার পোড় খাওয়া নেতা মোহাম্মদ সেলিম। আর একটিতে রাজনীতিতে আনকোরা বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত। সম্ভাব্য সংঘাতের শঙ্কায় সবাই যখন থরহরি, ঠিক তখন যশ নেমে এলেন গাড়ি থেকে। পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন সেলিমকে। অভিভূত সেলিম আশীর্বাদ করলেন যশকে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যখন অসৌজন্যের বিষ তখন এই আচরণে উদ্বেলিত সবাই।
এই কেন্দ্রের তৃতীয় প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের দু’বারের বিধায়ক স্বাতী খন্দকারও সৌজন্যই দেখাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম কিংবা যশ সম্পর্কে একটি কু-কথাও শোনা যায়নি তার কণ্ঠে। সব মিলে একটা ফিল গুড ফ্যাক্টর কাজ করছে এই চণ্ডীতলায় । তার মানে মনে করার কোনো কারণ নেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম এই কেন্দ্রে। ত্রিফলা লড়াই। একদিকে বহু ভোট যুদ্ধের নায়ক মোহাম্মদ সেলিমের প্রাজ্ঞতা, বিজেপি’র যশ দাশগুপ্তের সেলেব ইমেজ, এই অঞ্চলের একদা তৃণমূলের দোর্দ- প্রতাপ নেতা প্রয়াত আকবর আলি খন্দকারের স্ত্রী স্বাতী খন্দকারের প্রভাব। তিনে মিলে চ-ীতলার লড়াই জমজমাট। কে এগিয়ে? চ-ীতলার মানুষ এবার একটু হলেও এগিয়ে রাখছেন সেলিমকে। দু’বারের বিধায়ক স্বাতী খন্দকার তৃণমূলের এক শ্রেণির স্থানীয় নেতার কারণেই একটু ব্যাকসিটে। স্বাতীকে সামনে রেখে আখের গুছিয়েছেন এই নেতারাÑএটাই অভিযোগ। নুসরাত জাহানের বয়ফ্রেন্ড যশ রাজনীতিতে নতুন। যদিও বিজেপি’র আশীর্বাদ তার ওপরে কিন্তু তাতেও যেন কিছুটা অনাস্থার দোলাচল। এই অবস্থায় অনুকূল অবস্থায় যেতে পারেন সেলিম। মুসলিম অধ্যুষিত চ-ীতলায় আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফের হাত ধরে সেলিম ভোট বৈতরণী পেরোতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান।