ভারত
প্রার্থীর পায়ে পায়ে (দশ)
রং লেগেছে ভোটে, ভোটাররা উপভোগ করছেন রুদ্ধশাস ম্যাচ
২০২১-০৩-৩০
(পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের তারকা কেন্দ্র নিয়ে মানবজমিন এর অন্তর্তদন্তের আজ দশম কিস্তি। আজ কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্র। লিখেছেন জয়ন্ত চক্রবর্তী )
গ্রীষ্মের ঠা ঠা রোদ্দুরে প্রচার সেরে একটু ঠান্ডা ডাবে চুমুক দিচ্ছেন প্রার্থী। গায়ের পাঞ্জাবির রংটি টকটকে লাল দেখে ভেবে নেয়ার কোনো কারণ নেই ইনি বাম প্রার্থী। কালারফুল হয়ে থাকতে ভালোবাসেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। বললেন আমার অসংখ্য রঙিন পাঞ্জাবি আছে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরতে ভালোবাসি। দোলের দিন তিন বিজেপি প্রার্থী পায়েল, শ্রাবন্তী আর তনুশ্রীকে নিয়ে গঙ্গাবক্ষে দোল উদযাপন করে মদন মিত্র আবার শিরোনামে। তৃণমূল নেতার সঙ্গে দোলে মেতে বিপাকে তিন অভিনেত্রী বিজেপি প্রার্থী। মদন বাবু বললেন, আরে বাবা এতে গেল গেল রব তোলার কি আছে? ওরাতো সেলিব্রেটি। তাছাড়া রঙের উৎসবে আবার পার্টি পলিটিক্স কি? মদন বাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় অতটা না হলেও বেশ রঙিন। একসময় কলকাতা পোর্টের হয়ে প্রথম ডিভিশনে ফুটবল খেলতেন। ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচাৰ্যর শ্যালক। বিজেপির যে কোনো বিক্ষোভ মিছিলে টকটকে লাল পাঞ্জাবি পরে মাটিতে শুয়ে পড়ার ব্যাপারে তার দক্ষতা আছে। সুগৌড় রাজু বললেন, এবার বিজেপি। মদন দা পাত্তাই পাবেন না। বিজেপি কিংবা তৃণমূল পাত্তাই দিচ্ছে না এই কেন্দ্রের বাম প্রার্থী ডি ওয়াই এফ-এর সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রকে। সায়নদীপের রং নেই কিন্তু বাগ্মী হিসেবে সুনাম আছে। তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দে সায়নদীপ বড় ভূমিকা নিতে পারেন। কলকাতার উপকণ্ঠে কামারহাটি অঞ্চলটি শিল্প সমৃদ্ধ মিশ্র এলাকা। ভোটাররা এবার একটু চুপচাপ। গঙ্গার ধারে কেলভিন জুট কোম্পানির শ্রমিক মিশিরলাল খৈনি ডলতে ডলতে বললেন, দিখনা হ্যায় কেয়া হোগা? তৃণমূলের মদন মিত্র অবশ্য মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে বললেন, এবার আমি জিতছিই। ভোটাররা কিছু বলছেন না। তারা এখনও নির্বাক রেফারি। বাঁশি বাজাবেন ভোটের দিনে।
গ্রীষ্মের ঠা ঠা রোদ্দুরে প্রচার সেরে একটু ঠান্ডা ডাবে চুমুক দিচ্ছেন প্রার্থী। গায়ের পাঞ্জাবির রংটি টকটকে লাল দেখে ভেবে নেয়ার কোনো কারণ নেই ইনি বাম প্রার্থী। কালারফুল হয়ে থাকতে ভালোবাসেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। বললেন আমার অসংখ্য রঙিন পাঞ্জাবি আছে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরতে ভালোবাসি। দোলের দিন তিন বিজেপি প্রার্থী পায়েল, শ্রাবন্তী আর তনুশ্রীকে নিয়ে গঙ্গাবক্ষে দোল উদযাপন করে মদন মিত্র আবার শিরোনামে। তৃণমূল নেতার সঙ্গে দোলে মেতে বিপাকে তিন অভিনেত্রী বিজেপি প্রার্থী। মদন বাবু বললেন, আরে বাবা এতে গেল গেল রব তোলার কি আছে? ওরাতো সেলিব্রেটি। তাছাড়া রঙের উৎসবে আবার পার্টি পলিটিক্স কি? মদন বাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় অতটা না হলেও বেশ রঙিন। একসময় কলকাতা পোর্টের হয়ে প্রথম ডিভিশনে ফুটবল খেলতেন। ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচাৰ্যর শ্যালক। বিজেপির যে কোনো বিক্ষোভ মিছিলে টকটকে লাল পাঞ্জাবি পরে মাটিতে শুয়ে পড়ার ব্যাপারে তার দক্ষতা আছে। সুগৌড় রাজু বললেন, এবার বিজেপি। মদন দা পাত্তাই পাবেন না। বিজেপি কিংবা তৃণমূল পাত্তাই দিচ্ছে না এই কেন্দ্রের বাম প্রার্থী ডি ওয়াই এফ-এর সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রকে। সায়নদীপের রং নেই কিন্তু বাগ্মী হিসেবে সুনাম আছে। তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দে সায়নদীপ বড় ভূমিকা নিতে পারেন। কলকাতার উপকণ্ঠে কামারহাটি অঞ্চলটি শিল্প সমৃদ্ধ মিশ্র এলাকা। ভোটাররা এবার একটু চুপচাপ। গঙ্গার ধারে কেলভিন জুট কোম্পানির শ্রমিক মিশিরলাল খৈনি ডলতে ডলতে বললেন, দিখনা হ্যায় কেয়া হোগা? তৃণমূলের মদন মিত্র অবশ্য মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে বললেন, এবার আমি জিতছিই। ভোটাররা কিছু বলছেন না। তারা এখনও নির্বাক রেফারি। বাঁশি বাজাবেন ভোটের দিনে।