× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আইনের আওতায় আসবে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম

এক্সক্লুসিভ

সংসদ রিপোর্টার
৪ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

 দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটি পাস হলে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম এই আইনের আওতায় আসবে। আইনে পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে বলে সরকার আশা করছে। গতকাল শনিবার ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল-২০২১’ নামের এই বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে ওই বিলটির ওপর আপত্তি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তিনি বিলের বিরোধিতা করে বলেন, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টুয়াব) দেশের পর্যটন কার্যক্রমকে একটি জায়গায় নিয়ে এসেছে।
তাদের কার্যক্রম ব্যাহত করতে এই আইন করা হয়েছে। বিলটি পাস হলে টুয়াবকে নিবন্ধনের জন্য বারান্দায় বারান্দায় ঘুরতে হবে। জবাবে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রমে সহায়তা ও একটি বিধিবদ্ধ বিধানের আওতায় আনতে এই বিলটি আনা হয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না, বরং সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যটন করপোরেশন গঠন করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন বোর্ড গঠন করেছেন। এই আইনে ওই করপোরেশন ও বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে। বিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে এতে আরো বলা হয়েছে, আইনটি সংসদে অনুমোদিত হলে পর্যটকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে। পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণসহ পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম এই আইনের আওতায় সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। প্রস্তাবিত আইনের বিধান মতে, নিবন্ধন সনদ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সেবা সংশ্লিষ্ট আবাসন, আহার বা আপ্যায়ন, পরিবহন, পর্যটন আকর্ষণ সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন, পরিভ্রমণ সেবা বা অন্যান্য পর্যটন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করে দলভিত্তিক বা একক ট্যুর আয়োজন, পরিচালনা ও ট্যুর গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে সরকারের পূর্বানুমতি নিতে হবে। বিলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তার জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের অপরাধ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর