× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনুমোদন ছাড়া ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনায় জেল-জরিমানা

এক্সক্লুসিভ

সংসদ রিপোর্টার
৪ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

সরকারের অনুমোদন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) পরিচালনায় জেল-জরিমানা ভোগ করতে হবে। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন ও সনদ গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কমিটিকে এক মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণির কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ নিয়ে ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করা যাবে। সেখানে শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, বিনোদন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি ডে-কেয়ার সেন্টার রয়েছে। এর বাইরে বিপুল সংখ্যক ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলেও আইনটি পাস হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া কেউ তা পরিচালনা করতে পারবে না। নতুন আইন পাস হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে। অনুমোদন ছাড়া এসব পরিচালনা করলে অপরাধ হবে। নিবন্ধন ছাড়া ডে-কেয়ার সেন্টার চালালে দুই বছরের জেল ও দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, ডে-কেয়ার সেন্টার সংক্রমক রোগের বিস্তার ঘটাতে সহায়তা করলে বা তথ্য গোপন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। আর ডে-কেয়ার সেন্টার থেকে শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যৌথ পরিবার প্রথা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে দিন দিন কর্মজীবী ও পেশাজীবী মায়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিকে দিনের বেশির ভাগ সময় নিজ বাসগৃহের বাইরে অবস্থান করতে হয়। তাই শিশুর জন্য মানসম্মত উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার লক্ষ্যে শিশুর দিবাকালীন অবস্থানের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর