× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্রেতাশূন্য গ্রন্থমেলা, অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা

এক্সক্লুসিভ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
৭ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

তখন বিকাল ৩টা বাজে। টিএসসি সংলগ্ন সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান গেইট পেরিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবেশ করতেই অন্যরকম এক দৃশ্য চোখে পড়ে। খাঁ খাঁ করছে মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীর সংখ্যা যে কেউ চাইলে হাতে গুনতে পারবেন। স্টল-প্যাভেলিয়নে অলস সময় পার করছেন বিক্রয়কর্মীরা। তাদের সরল উক্তি, ‘গণপরিবহন বন্ধ রেখে মেলা চালু রাখলে দর্শনার্থী কি হাওয়ায় চড়ে আসবে? কয়জনের-ই বা ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধা আছে। মানুষ দুই একটা বই কেনার জন্য তো এতো প্যারা নেবে না।’ এই দৃশ্য গতকালের। কোভিড-১৯ এর ঊর্ধ্ব সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ৪ঠা এপ্রিল সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
এ সময় গণপরিবহনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু চালু রেখেছে গ্রন্থমেলা। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল গণপরিবহ বন্ধ রেখে মেলা চালু রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত। এদিকে মেলা নিয়ে প্রকাশকদের মধ্যেও হতাশা দেখা গেছে। তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। যে সমস্ত দর্শনার্থী মেলায় এসেছেন তারাও গণপরিবহন বন্ধ রেখে মেলা চালু রাখার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী তানজিনা আক্তার বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশায় চড়ে মেলায় আসতে হয়েছে। হয়তো আমরা কাছাকাছি থাকার কারণে মেলায় আসতে পারছি। কিন্তু যারা দূর-দূরান্তে রয়েছেন তারা কীভাবে আসবেন। ব্যক্তিগত গাড়িতো আর সবার নেই।’ বাংলা প্রকাশের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার মো. নুর নবী বলেন, এবার মেলার সময়ও বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতে ছিল বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এরপর এক ঘণ্টা কমিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলার সময় নির্ধারণ করা হয়। এক সময় সেটিও কমিয়ে এনে সাড়ে ৬টা করা হয়। বারবার সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে। এখন যে সময়টা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে তাতেও দর্শনার্থী খুব আসবে না। কারণ ৫টা পর্যন্ত অফিস টাইম। তিনি বলেন, গতকাল থেকে বিক্রি অনেক কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন, পরিস্থিতির কারণে বাংলা একাডেমিও এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মধ্যখানে প্রকাশকরা আর্থিকভাবে লোকসানে পড়বে। আমি চাই সরকার প্রকাশকদের এ আর্থিক ক্ষতিটা কমিয়ে আনতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করুক। অন্য প্রকাশের জনসংযোগ কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, মেলায় দর্শনার্থী অনেক কম। তবে এবার একটা আশার বিষয় হচ্ছে যারাই মেলায় আসছেন বই কিনে বাসায় ফিরছেন। এদিকে গতকাল মেলায় দেখা যায় যারাই মেলায় এসেছেন বই কিনেই নিজ গন্তব্যে ফিরছেন। ঘোরাঘুরিতে অযথা সময় নষ্ট করছেন না কেউই। রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, মেলায় এসেছি কয়েকটি বই সংগ্রহ করতে। সেসব সংগ্রহ শেষ হলেই বাসায় ফিরবো। অযথা ঘোরাঘুরির ইচ্ছা নেই। সরকার কোভিড ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আমাদেরও সচেতন হতে হবে। নতুবা এতে সুফল আসবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর