× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলে গেলেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
৮ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন তিনি। গত ৪ঠা এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীকে। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মারা যান তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন। তিনি জানান, করোনাভাইরাসের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন এই শিল্পী। সোমবার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
এর আগেও মহাখালী ও মালিবাগের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। বরেণ্য এ শিল্পীর জন্ম ঢাকা শহরে। তার পরিবারের পাঁচ পুরুষ সংগীতের সঙ্গে জড়িত। সংগীত কলেজে লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ লোকসংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫৭ সালে ছোটদের আসরে গান করতে শুরু করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ‘চেনা অচেনা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে প্লেব্যাক শুরু করেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে পাকিস্তানিদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিন। পরবর্তীতে সেখান থেকে চলে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদী ইত্যাদি গানের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত তিনি। দেশের সংগীতাঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সংগীত বিভাগে একুশে পদক লাভ করেন খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পী। গান গাওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকগান সংগ্রহ করতেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। দেশের সহস্রাধিক কবির লেখা কয়েক লাখ গান সংগ্রহ করেছেন তিনি। তার স্ত্রীর নাম দীপ্তি রাজবংশী, পুত্র রবীন রাজবংশী ও মেয়ে প্রবাসী। তারাও লোকগানের সঙ্গে জড়িত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর