× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিরাপদ’

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
৮ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিরাপদ। এই ভ্যাকসিনের যে সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে তা এর কার্যকারিতার তুলনায় একেবারেই নগণ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেডিসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইএমএ এবং বৃটেনের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ এ ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকাও এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ভ্যাকসিন নিরাপদ দাবি করেছে।
বৃটেনের কমিটি অব হিউম্যান মেডিসিনসের চেয়ারম্যান স্যার মুনির পীর মোহাম্মদ তিনটি সতর্কতা মেনে চলার কথা বলেছেন। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে। যাদের এর পূর্বে রক্ত জমাট বাঁধা বা এ সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা ছিল তাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত হবে না বলে জানান স্যার মুনির। একইসঙ্গে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পর যাদের রক্ত জমাট বেঁধেছিল তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ নেয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি।

ওদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে নিরাপদ বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেডিসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইএমএ। এক ঘোষণায় তারা জানিয়েছে, যে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা অত্যন্ত বিরল। একইসঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু থাকলে মহামারি নিয়ন্ত্রণে যে সুবিধা পাওয়া যাবে তা এই ঝুঁকির তুলনায় অনেক বেশি। ইএমএ জানিয়েছে, যেসব রক্ত জমাট বাঁধার রিপোর্ট পাওয়া গেছে তারমধ্যে বেশির ভাগই ৬০ বছরের কম বয়স্ক নারী। ভ্যাকসিন দেয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় এই উপসর্গ দেখা গেছে। এটি হয়ে থাকে মূলত শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ার কারণে।
এদিকে বৃটেনে ৩০ বছরের কম বয়স্কদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকল্প ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। দেশটির ভ্যাকসিন সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এ কথা জানিয়েছে। দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়ার পর মার্চের শেষ পর্যন্ত মোট ৭৯ জনের মধ্যে রক্ত জমাটের খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। তবে এই ভ্যাকসিনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতাস্বরূপ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বৃটেন।
এমএইচআরএ’র প্রধান নির্বাহী ড. জুন রাইন জানিয়েছেন, এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বিরল। তারপরও এর সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনো সমপর্ক আছে কিনা তা জানতে গবেষণা চলবে। তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন এরইমধ্যে মহামারি মোকাবিলায় যে কার্যকারিতা দেখিয়েছে তা এই ঝুঁকির তুলনায় অনেক বেশি। তারপরেও আমরা মানুষের নিরাপত্তার কথা ভাবছি। তাই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেকার মানুষের জন্য বিকল্প ভ্যাকসিনের সুযোগ থাকলে সেটি প্রদান করা হবে। জুন রাইন বলেন, এখন পর্যন্ত ২ কোটি বৃটিশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এটিই কোভিড-১৯ থেকে বাঁচার সেরা উপায়। তাছাড়া কোনো কোভিড ভ্যাকসিনই ঝুঁকিহীন নয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর