ভারতের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিডের দ্বিতীয় সার্জ নিয়ে বৈঠকের পর ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল সারা দেশে টিকা উৎসবের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানান হচ্ছে, অধিকাংশ রাজ্যগুলির কাছে আর সাড়ে পাঁচদিন চালানোর মতো ভ্যাকসিনের স্টক আছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ডের হাতে তো তাও নেই। মাত্র দুদিনের স্টক তাদের কাছে আছে। তবে পাইপলাইনে সব রাজ্যই আরো ভ্যাকসিন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। কেন্দ্র সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং কোভ্যাকসিন নির্মাতাদের আরো উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশে মৃতের সংখ্যা আটশোর বেশি ছাড়িয়ে গেছে। মোদি বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণের ওপর জোর দিয়েছেন।
দেশ আর সার্বিক লকডাউনের পথে যাবে না বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের মোদি বলেন, করোনা কারফিউ চালু করার জন্যে প্রয়োজনে রাত নটা বা দশটা থেকে রাজ্যগুলি করোনা কারফিউ জারি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে টেস্টের সংখ্যা আরো বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বলেছেন। দেশের এই ভয়াবহ দ্বিতীয় সার্জ এর সময়েও ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো কোনো রাজ্য রাজনীতি করছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন বন্টনে কোনো পক্ষপাত করা হচ্ছে না। সব রাজ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ কমার পর মানুষ এত অসতর্ক হয়ে যায় যে মাস্ক পরা বন্ধ করা অথবা সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হয় না। তার ওপর যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের অসতর্কতায় কাল হয়। এদিকে কলকাতায় বৃহস্পতিবার ২ হাজার ৭৮০ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন।