× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রানীর স্বামী হয়েও হতে পারেননি রাজা, অল্পের জন্য হতে পারেননি শতবর্ষীও!

অনলাইন

তারিক চয়ন
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ৯, ২০২১, শুক্রবার, ৭:৪১ অপরাহ্ন

বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন শুক্রবার সকালে। রাজভবন উইন্ডসর ক্যাসলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর প্রিন্সেস এলিজাবেথ বৃটেনের রাণী হন, যিনি এখনও রাণী হিসেবে বহাল রয়েছেন। জানা গেছে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে প্রিন্স ফিলিপ কোন রাজা বা রাণীর সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জীবনসঙ্গী ছিলেন।

অসুস্থ বোধ করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করার পর দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা নিয়ে মার্চে হাসপাতাল ছাড়েন ফিলিপ। তিবে ঠিক কি কারণে প্রিন্স ফিলিপকে তখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তা প্রকাশ করা হয়নি। ভর্তির সময় বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল- প্রিন্স ফিলিপের অসুস্থার কারণ করোনাভাইরাস নয়। গত জানুয়ারিতেই প্রিন্স ফিলিপ এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ করোনার টিকা নিয়েছিলেন।

সিএনএন জানিয়েছে- আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রীক দ্বীপ কর্ফুতে প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং প্রিন্সেস অ্যালিসের ঘরে ফিলিপের জন্ম হয়েছিল।
ফিলিপের বাবা প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছিলেন গ্রীস ও ডেনমার্কের যুবরাজ, হেলেনের রাজা প্রথম জর্জের ছোট ছেলে। আর মা প্রিন্সেস অ্যালিস ছিলেন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে, কুইন ভিক্টোরিয়ার নাতনী। ফিলিপের বয়স যখন ১৮ মাস তখন পরিবারটি প্রথমে প্যারিস এবং পরে (১৯২৮) ইংল্যান্ডে চলে যেতে বাধ্য হয়।

শুক্রবার (০৯ এপ্রিল, ২০২১) প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে। আর মাত্র দুই মাস বেঁচে থাকলেই তার বয়স হতো ১০০ বছর। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সংবাদ শিরোনামেও তাই লেখা হচ্ছে, প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন।

এদিকে, পদবি আর খেতাব মিলিয়ে প্রিন্স ফিলিপের নামের শেষে ১৩৩ শব্দ (ডিউক, আর্ল, ব্যারন, রয়াল নাইট ইত্যাদি) যোগ করা হলেও সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত যে পরিচয়, তা কিন্তু তিনি কখনোই পান নি! ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের 'দীর্ঘ সময়ের স্বামী' হলেও তিনি কখনো 'রাজা' হতে পারেননি! কারণ বৃটিশ রাজপরিবারে রাজার স্ত্রীকে রানী ডাকা হলেও, রানীর স্বামীকে রাজা ডাকা হয় না।

যে কারণে প্রিন্স হ্যারিকে ডিউক অব সাসেক্স ঘোষণা করা হলে তার স্ত্রী মেগান মার্কেল হন ডাচেস অব সাসেক্স। আবার প্রিন্স উইলিয়াম কখনো রাজা হলে তার স্ত্রী কেট মিডলটন হবেন কুইন বা রানী। কিন্তু স্বামীরা তাদের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিয়ে পদবি পান না। আলংকারিক অর্থে ‘রানী’র ব্যবহার থাকলেও রাজা কেবল ক্ষমতাবলেই হয়ে থাকেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর