বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে ৬০টি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন ক্রীড়াবিদরা। এর মধ্যে ভারোত্তোলনেই হয়েছে ৩৪টি রেকর্ড। আসরে সাইক্লিংয়ে ১৩টি, সুইমিংয়ে ১১টি, আরচারিতে ১টি এবং অ্যাথলেটিকসে ১টি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। ২০১৩ সালে সবশেষ বাংলাদেশ গেমসে রেকর্ড হয়েছিল ২২টি। সর্বাধিক ৯টি রেকর্ড হয়েছিল সাঁতারে। এছাড়া ভারোত্তোলনে ছয়টি, সাইক্লিংয়ে চারটি আরচারিতে দুটি এবং অ্যাথলেটিক্সে একটি রেকর্ড হয়েছিল।
এবার ভারোত্তোলনে সর্বাধিক তিনটি করে রেকর্ড গড়েছেন টানা দু’টি সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ) সোনাজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। তিনি রেকর্ড গড়েন ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে। এ ছাড়া ঊর্ধ্ব ১০৯ কেজিতে সেনাবাহিনীর ফরহাদ আলী।
দুটি করে রেকর্ড গড়েন তিনজন। ৬১ কেজি ওজন শ্রেণিতে মোস্তাইন বিল্লাহ, ১০২ কেজি শ্রেণিতে সেনাবাহিনীর আশিকুর রহমান, ঊর্ধ্ব-৮৭ কেজিতে সেনাবাহিনীর নাজনিন আক্তার মুন্নি। একটি করে রেকর্ড গড়েছেন ৬৭ কেজি ওজন শ্রেণিতে আনসারের বাকী বিল্লাহ, ৬৭ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেনাবাহিনীর শিমুল কান্তি সিংহ, ১১৮ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেনাবাহিনীর হামিদুল ইসলাম, ৮১ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেনাবাহিনীর মনোরঞ্জন রায়, ৮৯ ওজন কেজি শ্রেণিতে আনসারের সাখায়েরত হোসেন প্রান্ত, ১০২ কেজিতে আনসারের আমিনুল ইসলাম, ১০৯ কেজিতে সেনাবাহিনীর আব্দুল্লাহ আল মোমিন, ১০৯ কেজিতে সেনাবাহিনীর আবদুল্লাহ আল মুমীন, ৪৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেনাবাহিনীর স্মৃতি আক্তার, ৫৫ কেজিতে আনসারের ফুলপতি চাকমা, ৫৫ কেজিতে সেনাবাহিনীর মার্জিয়া আক্তার, ৫৯ কেজিতে আনসারের ফাহিমা আক্তার ময়না, ৭১ কেজি ওজন বিভাগে সেনাবাহিনীর ফারজানা আক্তার রিয়া, ৮১ কেজিতে সেনাবাহিনীর মুনিরা কাজী, ৮৭ কেজিতে সেনাবাহিনীর তানিয়া খাতুন, উর্ধ্ব-৮৭ কেজিতে আনসারের সোয়াইবা রোকাইয়া।
সাইক্লিংয়ের ১০০০ মিটার টাইম ট্রায়ালে বিশ্বাস ফয়সাল হোসাইন, ১২০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশ্বাস ফয়সাল হোসাইন, আলমগীর হোসেন ও মুক্তাদুর আল হাসান, ৪০০০ মিটার ইন্ডিভিজুয়্যাল পারস্যুটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সবুর খান, ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে সেনাবাহিনীর বিশ্বাস ফয়সাল হোসাইন, ১৬০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়ালে সেনাবাহিনীর বিশ্বাস ফয়সাল হোসাইন, আলমগীর হোসেন, মুক্তাদুর আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম, ৪০০০ মিটার টিম পারস্যুটে সেনাবাহিনীর বিশ্বাস ফয়সাল হোসাইন, শরিফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন নতুন রেকর্ড গড়েন। নারী বিভাগে ৫০০ মিটার টাইম ট্রায়ালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নিশি খাতুন, ৮০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্টে সেনাবাহিনীর শিল্পী খাতুন ও সমাপ্তি বিশ্বাস, ২০০০ মিটার ইন্ডিভিজ্যুয়াল পারস্যুটে সেনাবাহিনীর সুবর্ণ বর্মা, ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে সেনাবাহিনীর শিল্পী খাতুন। ১২০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়ালে সেনাবাহিনীর শিল্পী খাতুন, সুবর্ণা বর্মা, সমাপ্তি বিশ্বাস ও গীতা রায়, ৪০০০ মিটার স্ক্র্যাচ রেসে সেনাবাহিনীর সুবর্ণা বর্মা, ২০০০ মিটার টিম পারস্যুটে সেনাবাহিনী শিল্পীর খাতুন, সুবর্ণা বর্মা, সমাপ্তি বিশ্বাস ও সুমিত্রা গাইন নতুন রেকর্ড গড়েন।
সাঁতারের পুরুষ বিভাগে ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সেনাবাহিনীর জুয়েল আহম্মেদ, ১০০ মিটার বাটার ফ্লাইয়ে নৌবাহিনীর মাহমুদুন্নবী নাজিদ, ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে নৌবাহিনীর আসিফ রেজা, ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে নৌবাহিনীর মাহফিজুর রহমান সাগর, ২০০ মিটার বাটার ফ্লাইয়ে নৌবাহিনীর কাজল মিয়া, ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক সেনাবাহিনীর জুয়েল আহম্মেদ নতুন রেকর্ড গড়েন। ৪ক্ম১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে নৌবাহিনীর আরিফ রেজা, মাহমুদুন্নবী নাহিদ, অনিক ইসলাম ও মাহফিজুর রহমান, ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে নৌবাহিনীর কাজল মিয়া রেকর্ড বুকে নাম লেখান। নারী বিভাগে ১০০ মিটার বাটার ফ্লাইয়ে নৌবাহিনীর সোনিয়া খাতুন, ৫০ মিটার বাটার ফ্লাইয়ে নৌবাহিনীর সোনিয়া খাতুন নতুন রেকর্ড গড়েন। আরচারিতে ১টি রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ডটি গড়েছেন কম্পাউন্ড ইভেন্টে বাংলাদেশ পুলিশের অসীম কুমার দাস। অ্যাথলেটিক্সে নারীদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার একমাত্র রেকর্ডটি গড়েন।