× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘বাজেটে করোনা মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে’

প্রথম পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে। তাই আগামী বাজেটে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে বলে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। সেইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টিও বাজেটে গুরুত্ব দিতে হবে। গতকাল ডিসিসিআই আয়োজিত ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা: অর্থবছর ২০২১-২২’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান প্রধান অতিথি এবং ব্র্যাক-এর চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। ডিসিসিআই’র আয়োজনে যৌথ সহযোগিতা দেয় দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪।

ড. মসিউর রহমান বলেন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে এবং এটিকে সকল জনগণের মাঝে ছড়িয়ে  দিতে হবে। তিনি বলেন, শুল্ক বা করের হার গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে না থাকলে তা ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে। তিনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত না করে কি হারে রাজস্ব বাড়ানো যায় তার একটি দিকনির্দেশনা সরকারকে প্রদানের আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ৭-১০ বছরের জন্য একটি টেকসই ও সহনশীল কর কাঠামো দেশে বিনিয়োগ সমপ্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া তিনি দেশের জিডিপিতে করের অবদান বাড়ানো প্রয়োজন বলে মতপ্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন খাতকে বিভিন্ন হারের কর অব্যাহতি দেয়ার কারণে জিডিপিতে করের অবদান কমছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাক্সের হার নির্ধারণ ও সরকারের ব্যয়ের বিষয়ে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে, সেইসঙ্গে নাগরিকদের উপর আরোপিত ট্যাক্স সেই নাগরিকের নিকট গ্রহণযোগ্য কিনা সে বিষয়ে নজর দেয়া প্রয়োজন।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাজেট শুধুমাত্র কর আহরণের বিষয় নয়, এটি সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের একটি রপরেখা। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছি, যেটা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং বাজেটে করোনা পরিস্থিতি উত্তরণের একটি সুনিদিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে, সেইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টিও বাজেটে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের এসএমই খাতকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং এসএমই খাতের জন্য আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকল্পে মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটগুলো (এমএফআই)কে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং প্রণোদনা প্যাকেজ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের নিকট পৌঁছানো যায়, সে লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স এর পর আমাদের প্রবৃদ্ধির নিয়ামকগুলো কী হবে, সেগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, সরকার ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থা, শিল্পায়নের বিকাশ এবং উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে যেতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। করোনা পরবর্তী অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের গুরুত্ব বিবেচনায় বেসরকারিখাতের প্রত্যাশা পূরণে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ যেমন; আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর, আর্থিক খাত, শিল্প ও বাণিজ্য এবং জ্বালানি, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাত প্রভৃতি খাত সমূহকে বাজেটে গুরুত্ব প্রদান করা প্রয়োজন বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।

ওয়েবিনারে ৪টি খাতের উপর সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত প্রদান করেন। ‘আর্থিক খাত’ সেশনের আলোচনায় আইপিডিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয়, নগদ-এর সিইও রাহেল আহমেদ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম অংশগ্রহণ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর